Breaking News

সর্ববৃহৎ পরীক্ষা কেলেঙ্কারি ‘নিট’, চাপা দিতে ব্যস্ত কেন বিজেপি সরকার

১৩ জুন বিকাশভবনের সামনে থেকে এআইডিএসও কর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। গ্রেফতার হন রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়।

ডাক্তারি কোর্সে ভর্তির সর্বভারতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা তথা নিট ইউজি ২০২৪-এর পরীক্ষা ও তার ফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তা এ যাবৎকালের পরীক্ষা কেলেঙ্কারির মধ্যে সর্ববৃহৎ। চিকিৎসক পেশায় প্রবেশ করবার মুখেই যারা দুর্নীতির আশ্রয় নিল তারা কেমন ডাক্তার হবে ভেবেই আঁতকে উঠছেন মানুষ। মানবসভ্যতা রক্ষার তাগিদেই এর বিরুদ্ধে তীব্র এবং লাগাতার আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার।

এ বছরের নিট পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাথে সাথেই সামনে আসতে থাকে, এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির কথা। এই দুর্নীতির সাথে হাজার কোটিরও বেশি টাকা যুক্ত থাকার কথা ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। যদিও কয়েকটি রাজ্যের পুলিশি তদন্তে যতটুকু তথ্য উঠে এসেছে তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। প্রশ্ন উঠেছে, এতবড় দুর্নীতি শাসক দলের যোগসাজশ ছাড়া কি আদৌ সম্ভব?

অথচ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনীত সদস্যদের নিয়ে তৈরি ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র ডিরেক্টর জেনারেল সুবোধ কুমার সিং বলে চলেছেন কোনও রকম দুর্নীতি হয়নি। ফলে ডাক্তার হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে যারা পরীক্ষায় বসেছিল তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। ভালো নম্বর পেয়েও বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রীর র্যাঙ্ক অনেক নিচে চলে গেছে। ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও-র নেতৃত্বে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। প্রতিবাদে নেমেছে মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার ও সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের মতো চিকিৎসক সংগঠনগুলিও। দাবি উঠছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় তদন্তের। আন্দোলনের চাপে বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়। বিভিন্ন রাজ্যে এই দুর্নীতি চক্রের সাথে যুক্ত পরীক্ষা মাফিয়া দলের কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করার পরে এবং কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় যে তথ্য উঠে আসছে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।

জানা যাচ্ছে, পরীক্ষার আগের দিন অর্থাৎ ৪ মে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষত উত্তরপ্রদেশ, বিহার, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় হোয়াটস অ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমে আগাম সংগঠিত করা হয় এই জাল চক্রকে। কোথাও কোথাও দুর্নীতির পাণ্ডারা পরীক্ষার্থীদের একটি হোস্টেলে আটকে রেখে প্রশ্নের উত্তরগুলি মুখস্থ করায় এবং কড়া পাহারায় তাদের পরীক্ষার হলে পৌঁছে দেয়, যাতে কোনও ভাবেই বিষয়টি পাঁচকান না হয়। কোথাও আবার গোটা পরীক্ষা হলের কর্তৃপক্ষকেই মোটা টাকার বিনিময়ে কিনে নেওয়া হয়। তারাই দায়িত্ব নিয়ে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র অর্থাৎ ওএমআর সিট পূরণ করে দেন। খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাটের গোধরায় পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়েও এই অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই তদন্তে উঠে আসছে এইসব পরীক্ষা মাফিয়ারা প্রশ্ন ফাঁস করা বাবদ বিষয় পিছু ১০ থেকে ১৫ লক্ষ করে টাকা নিয়েছে। অর্থাৎ চারটি বিষয়ের জন্য কমপক্ষে ৪০ থেকে ৬০ লক্ষ করে টাকা প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে তোলা হয়েছে। উত্তর লিখে দিতে হলে, নেওয়া হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা। এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৪ লক্ষের কাছাকাছি। তার খুব সামান্য অংশকেও যদি পরীক্ষা মাফিয়ারা ধরে থাকে তাহলে তো এই দুর্নীতির সাথে কয়েক হাজার কোটি টাকা যুক্ত হয়ে আছে, যা কিছুকাল আগে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ঘটে যাওয়া ব্যাপম কেলেঙ্কারিকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি রাজ্যে স্বল্প সময়ের তদন্তে যা উঠে আসছে তাতেই তো পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির হদিস মিলছে। হরিয়ানার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস নম্বর দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। নিট তো পাশফেলের পরীক্ষা নয়, এই রকম কম্পিটিটিভ পরীক্ষায় গ্রেস নম্বরের প্রশ্ন আসে কোথা থেকে? বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিচারক রায় দিয়েছেন ওইসব পরীক্ষার্থীদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে। অথবা তাদের গ্রেস নম্বর কেটে নিয়ে আবার মেরিট লিস্ট প্রকাশ করতে হবে। এই রায়কে সাধুবাদ জানিয়েও বলা দরকার, যে পরীক্ষা নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে এত জায়গায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তার কি আদৌ কোনও বৈধতা থাকতে পারে? দুর্নীতিতে কত সংখ্যক পরীক্ষার্থী জড়িত তাও বোঝা যাচ্ছে না। আবার এর ফলে যে সব মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত হল, তাদের কী হবে? এ রকম নানা প্রশ্ন দেশের ছাত্র সমাজ তথা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। ছাত্রসমাজ হতাশায় ভুগছে।

গোটা দেশ জুড়ে আজ চাকরির সংকট। সরকারি ও আধা সরকারি দপ্তরগুলিতে এক কোটিরও বেশি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। স্কুল-কলেজগুলিতেও অসংখ্য পদ শূন্য। মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আজ আর যাওয়ার কোনও জায়গা নাই। প্রায়শই দেখা যায় রাজ্যে রাজ্যে গ্রুপ ডি কিংবা ডোমের পদে চাকরি পাওয়ার জন্য পিএইচডি ডিগ্রিধারীরা গিয়ে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। বি-টেক, এম- টেক পাশ করেও সামান্য পিওনের চাকরিটুকু পর্যন্ত জুটছে না। এই যখন কর্মসংস্থানের অবস্থা, তখন মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা যাবেন কোথায়? খোলা ছিল ডাক্তারি লাইন। আগে রাজ্যের ক্ষেত্রে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এবং বতর্মানে নিটের মতো অভিন্ন এবং অত্যন্ত কঠিন পরীক্ষা দিয়ে কিছু মেধাবী ছাত্রছাত্রী ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখত। যেখানে মেধাই ছিল একমাত্র মাপকাঠি। কিন্তু পূর্বতন কংগ্রেস এবং বর্তমান বিজেপি সরকার সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষত মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে যে ভাবে বাণিজ্যে পরিণত করেছে তাতে মেধা পিছনে চলে গিয়ে টাকাই হয়ে উঠেছে আসল বিষয়। ফলে দুর্নীতি চক্র ঝাঁপিয়ে পড়েছে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ডাক্তার বানানোর ব্যবসায়।

পুঁজিবাদের নিয়মেই বিগত কয়েক দশক ধরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি মেডিকেল শিক্ষাতেও কর্পোরেট ব্যাবসায়ীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। লক্ষ্য একটাই– সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন। আর তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দে্রর বিজেপি ও পূর্বতন কংগ্রেস সরকার বারংবার জনবিরোধী স্বাস্থ্য ও মেডিকেল শিক্ষানীতি নিয়ে এসেছে। ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুর্নীতি দূর করার নাম করে ২০১৩ সালে অভিন্ন নিট পরীক্ষা চালু করা হয়। সে দিন রাজ্যে রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় দুর্নীতির অজুহাত দেখিয়েই এই পরীক্ষার কেন্দ্রীকরণ করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হয় এনটিএ– যার পরিচালনায় এই পরীক্ষা ব্যবস্থা চলছে। সেদিনই এস ইউ সি আই (সি) এবং এআইডিএসও বলেছিল, এর মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে লাগামহীন দুর্নীতির ব্যবস্থা হচ্ছে। মেডিকেল শিক্ষাকে পুরোপুরি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই নিট-এর আড়াল নেওয়া হচ্ছে। এবারের নিট দুর্নীতি এই আশঙ্কার সত্যতাকে দেখিয়ে দিল।

ইতিমধ্যেই সরকার মেডিকেল শিক্ষাকে ব্যাপক ভাবে কর্পোরেট মালিকদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের সর্বোচ্চ মুনাফা সুনিশ্চিত করতে ভয়াবহ অবনমন ঘটানো হয়েছে মেডিকেল শিক্ষার মানদণ্ডে, যাতে খুবই নিম্নমানের পরিকাঠামো এবং কম বিনিয়োগেই শিক্ষা ব্যবসায়ীরা বিপুল মুনাফা অর্জন করতে পারে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে মেডিকেল শিক্ষার মানদণ্ড দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল কাউন্সিল অর্থাৎ এমসিআই-কে। তৈরি করা হয়েছে সরকার পরিচালিত স্বৈরতান্ত্রিক সংস্থা এনএমসি। যারা বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলির পরিকাঠামো এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড না দেখেই মালিকদের টাকার থলির আয়তন বিচার করে কেন্দ্রীয় সরকারি দলের নেতাদের অঙ্গুলিহেলনেই লাইসেন্স দিয়ে দিচ্ছে। কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বিকোচ্ছে এক একটি এমবিবিএস আসন। মেধা নয়, টাকাই এখন শেষ কথা। বিত্তবান লোকেরা কেবলমাত্র টাকার জোরেই সন্তানকে যাতে অপেক্ষাকৃত ভাল পরিকাঠামো যুক্ত মেডিকেল কলেজে পড়ানোর সুযোগ করে দিতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর সাথে সারা দেশ জুড়েই শুরু হয়েছে ডাক্তারি প্রবেশিকা উৎরে দেওয়ার নামে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাজার। কালক্রমে তা কর্পোরেট ব্যাবসায়ে পরিণত হয়েছে। সারা দেশ জুড়েই তাদের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত হয়ে রয়েছে। এদের বিজ্ঞাপনী চমকে চোখ ঝলসে গিয়ে, অর্থের অভাব সত্ত্বেও হাজার হাজার মা-বাবা অনেক আশা নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে, এমনকি ঘটি-বাটি বিক্রি করেও সন্তানদের ওই সব কোচিংয়ে পড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। এই সব কোচিং সেন্টারের নামও জড়িয়ে যাচ্ছে এ বছরের নিট কেলেঙ্কারির সাথে। পরীক্ষা মাফিয়া, সলভার গ্যাং ইত্যাদি এখন পরিচিত শব্দ।

শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণে সরকারের এই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা কেবল দেশের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদেরই বঞ্চিত করবে না, এর প্রত্যক্ষ প্রভাব সমাজ জীবনেও পড়বে। ডাক্তারি শিক্ষায় একদিকে যেমন মেধার প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন ধৈর্য, নিষ্ঠা ও পরিশ্রম। দরকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও দরদবোধ এবং উন্নত নীতি-নৈতিকতা। এ ছাড়া সমাজে ভাল ডাক্তার পাওয়া সম্ভব নয়। মেডিকেল শিক্ষার ক্রমবর্ধমান বেসরকারিকরণ ও মানের অবমূল্যায়নের ফলে ইতিমধ্যেই দেশে চিকিৎসকদের মান নিম্নগামী। তার উপরে এই মহান পেশায় ঢোকার মুখেই এত বড় দুর্নীতির সাহায্য নেবে যারা, তারা কোনও দিন ভাল চিকিৎসক হতে পারেন না। ভেবে দেখা দরকার চিকিৎসার মতো জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকা একটি বিষয়কে এ ভাবে হেলায় নষ্ট হতে দেওয়া যায় কি? নিট কেলেঙ্কারির শেষ দেখার জন্য গণআন্দোলন গড়ে তোলা আজ অত্যন্ত জরুরি।

নিটে দুর্নীতিঃ এআইডিএসও-র প্রতিবাদ

নিট পরীক্ষায় যে দুর্নীতি হয়েছে ১৩ জুন সুপ্রিম কোর্ট তাকে মান্যতা দিয়েছে। ১৫৬৩ জন ছাত্রছাত্রীকে দেওয়া গ্রেস মার্ক বাতিল করেছে এবং এদের পুনরায় ২৩ জুন পরীক্ষায় বসতে বলা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে এআইডিএসও-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৌরভ ঘোষ ১৪ জুন এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, এ বছর নিটের রেজাল্ট প্রকাশের পর থেকেই দেশের ছাত্র সমাজ এবং শিক্ষাবিদেরা এক গভীর দুর্নীতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ১৫৬৩ জন ছাত্রছাত্রীকে গ্রেস মার্ক দেওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে এই পুরো দুর্নীতিকে বোঝা যাবে না। কারণ পাটনা সহ দেশের কয়েকটি জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু আমরা অদ্ভুতভাবে লক্ষ করলাম, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ও কেন্দ্রীয় সরকার কেউই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই অভিযোগগুলোর কোনও রকম তদন্ত করেনি। উপরন্তু কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী যেভাবে কোনও তদন্ত ছাড়াই দুর্নীতির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাকে আমরা ধিক্কার জানাই।

তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সমস্ত ছাত্রসমাজের প্রতি আমাদের সংহতি জানিয়ে বলতে চাই, ১৫৬৩ জনের গ্রেস মার্ক বাতিল এবং তাদের পুনরায় পরীক্ষায় বসতে বলা– শুধুমাত্র এতেই ছাত্র সমাজ সন্তুষ্ট নয়। কারণ দুর্নীতি শুধুমাত্র এই ১৫৬৩ জনকে গ্রেসমার্ক দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, দুর্নীতির শিকড় আরও গভীরে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ১৫৬৩ জনের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া কোনও সমাধান নয়।

আমাদের দাবি–যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত অভিযোগের উপযুক্ত তদন্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে উপযুক্ত তদন্ত না করে কাউন্সেলিং চালিয়ে গেলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে।