চিন বিপ্লবের রূপকার মাও সে তুঙ-এর শিক্ষা থেকে

‘‘চিনে মালিকানার প্রশ্নে মূলগতভাবে সমাজতান্ত্রিক পরিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে। …কিন্তু আজও ক্ষমতাচ্যুত জমিদার এবং মধ্যস্বত্ত্বভোগী শ্রেণির অবশেষ থেকে গেছে। এখনও বুর্জোয়া শ্রেণি আছে এবং পেটিবুর্জোয়া শ্রেণিকে ঢেলে সাজানোর কাজটা সবে শুরু হয়েছে। শ্রেণি সংগ্রাম কোনও মতেই শেষ হয়নি। বুর্জোয়া এবং প্রোলেটারিয়েটের মধ্যে শ্রেণিসংগ্রাম, নানা রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে শ্রেণিসংগ্রাম, আদর্শগত ক্ষেত্রে শ্রেণিসংগ্রাম দীর্ঘদিন চলতেই থাকবে। সর্বদাই বহু আঁকাবাঁকা পথে তা এগোবে, কখনও তা অতি তীব্র এবং তীক্ষ্ণরূপ নেবে। প্রোলেটারিয়েট যেমন তার বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বিশ্বকে ঢেলে সাজাতে চায়, একই ভাবে বুর্জোয়া শ্রেণির চেষ্টাও এটাই থাকে। এই কারণেই সমাজতন্ত্র না পুঁজিবাদ–কে জিতবে সেই প্রশ্নটা আজও অমীমাংসিত।’’(জনগণের মধ্যে দ্বন্দ্বের সঠিক পরিচালনা প্রসঙ্গে)