এ আই ইউ টি ইউ সি সহ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি বিজেপি সরকারের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী নীতির প্রতিবাদে ৮ জানুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে৷ ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে ওই একই দিনে সারা ভারত ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিল এ আই ডি এস ও৷ সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৌরভ ঘোষ জানান, এন আর সি এবং সি এ এ সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে এবং এর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে ডি এস ও এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে৷ ধর্মঘটে ডি এস ও–র অন্যতম দাবি–বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে, ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন বাতিল করতে হবে৷ নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে৷
তিনি বলেন, এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন–২০১৯–এর বিরুদ্ধে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি, বিভিন্ন আই আই টি সহ দেশব্যাপী ছাত্ররা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন৷ এই আন্দোলনে পুলিশ বর্বর আক্রমণ চালিয়েছে৷ ছাত্ররা সর্বাত্মক ধর্মঘট করে এর সমুচিত জবাব দেবে৷
অন্যদিকে এ আই ইউ টি ইউ সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী লেবার কোড বাতিলের দাবিতেই এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে৷ কেন লেবার কোড শ্রমিক স্বার্থবিরোধী? কারণ এই কোড মালিকদের হাতে তুলে দিয়েছে শ্রমিক ছাঁটইয়ের চূড়ান্ত ক্ষমতা৷ স্থায়ী কাজে স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগের নীতিকে চূড়ান্তভাবে লঙঘন করেছে এই কোড৷
এই কোডকে হাতিয়ার করে মালিকরা কাজ বাইরে পাচার করতে পারবে, সরকারের অনুমতি ছাড়াই মালিক কারখানা বন্ধও করে দিতে পারবে৷ সর্বোপরি এই কোড শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ হওয়া, ইউনিয়ন গঠন করা, ধর্মঘট করা ইত্যাদি অধিকার হরণ করবে৷ এক কথায় দাসত্বের এই কোড শ্রমিক শ্রেণি মানবে না৷ তার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ধর্মঘট হবে৷