পরিকাঠামো উন্নত করেই প্রাথমিকে পঞ্চম চালুর দাবি

 

২২ নভেম্বর রাজ্য সরকার আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণিকে যুক্ত করার নির্দেশিকা জারি করেছে৷ শিক্ষকদের অভিমত, এমনিতেই পরিকাঠামোহীন স্কুলগুলি এর ফলে আরও সমস্যায় পড়বে৷ শিক্ষায় একদা প্রথম স্থানে থাকা এ রাজ্য আজ পিছনের সারিতে৷ পরিকাঠামোর উন্নয়ন না করে বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে শিশু শ্রেণি চালু করে ছিল৷ ফলে ৫টি ক্লাস চলছে, অথচ বেশির ভাগ স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা ২/৩ জন৷ অভাব অশিক্ষক কর্মী, সাফাই কর্মীর৷ ওই শিক্ষক দিয়েই চলছে মিড ডে মিল সহ প্রতিদিনের কাজ ও ভোটের কাজ, জনগণনার মতো স্কুল–বহির্ভূত কাজ৷ ফলে শিক্ষাদানটাই হয়ে পড়েছে গৌণ৷

দীর্ঘ ৪০ বছর পাশ–ফেল নেই, সিলেবাস নিয়েও রয়েছে বহু অভিযোগ৷ ফলে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা একটা প্রহসনে পর্যবসিত৷ অভিভাবকরা সরকারি স্কুলগুলি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন৷ যার জেরেপ্রায় ৩ হাজার প্রাথমিক স্কুল উঠে গেছে৷ খোদ কলকাতায় ৩৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে৷ শিশু শিক্ষাকেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ হাজার হাজার বিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে৷ এহেন পরিস্থিতিতে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি চালু করলে অভিভাবকদের বেসরকারি সুক্লের দিকে ঝুঁকতে আরও বাধ্য করা হবে৷

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ–ফেল, শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ সহ পরিকাঠামোর উন্নতি করেই পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে যুক্ত করার দাবি করেন৷

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ১৭ সংখ্যা)