বিজেপি পরিচালিত ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর ৬ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সকলকেই টাকা দিতে হবে৷ আউটডোরে টিকিট চার্জ হবে দরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা এবং এপিএল–দের জন্য ২০ টাকা৷ অন্যান্য ক্ষেত্রেও তারা চার্জ মারাত্মক বাড়িয়েছে৷ বেড চার্জ বাড়িয়ে প্রায় বেসরকারি নার্সিংহোমের মতো করে দিয়েছে৷ অন্ত্যোদয় যোজনাভুক্ত হতদরিদ্র রোগীদের আইসিইউ–তে বেড ভাড়া দিতে হবে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে, অন্যদের দিতে হবে ৬০০ টাকা৷ খরচ জোগাতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় সম্প্রতি এক দরিদ্র দিনমজুরের মৃত্যু হয়৷
এই বিপুল চার্জ বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং মৃত দিনমজুরের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে এস ইউ সি আই (সি) ১১ সেপ্টেম্বর আগরতলায় বিক্ষোভ দেখায়৷ দলের রাজ্য সম্পাদক কমরেড অরুণ ভৌমিক বলেন, ত্রিপুরায় সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব অনুন্নত৷ মহকুমা হাসপাতালে তো বটেই এমনকী জেলা হাসপাতালগুলিতেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পরীক্ষা–নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই৷ রেফারেল হাসপাতাল জিবিপিতেও উন্নত মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই৷ ত্রিপুরায় কংগ্রেস শাসনে, পরবর্তী সময়ে সিপিএম শাসনে জনসাধারণের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুও করা হয়নি৷ ফলে সাধারণ মানুষকে রোগ সারাতে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে৷ দুর্বল পরিকাঠামোর মধ্যেও সামান্য যতটুকু চিকিৎসা হত এবার বিজেপি সরকার সেখানেও আঘাত হানল৷ তারা সমস্ত পরিষেবায় ফি ধার্য করেছে এবং আগের ফি কয়েকগুণ বাড়িয়েছে৷ অবিলম্বে এই চার্জ বৃদ্ধি রদ করতে হবে৷
হাসপাতালের এই চার্জ বৃদ্ধিতে ত্রিপুরার সাধারণ মানুষ রাজ্যের বিজেপি সরকারের উপর ভয়ানক ক্ষুব্ধ৷ এই ঘটনা ত্রিপুরা সহ গোটা দেশের মানুষের কাছে বিজেপির চূড়ান্ত জনবিরোধী চরিত্র তুলে ধরে৷ নিন্দার ঝড় বয়ে যায়৷ শেষপর্যন্ত চাপে পড়ে ১০ সেপ্টেম্বর সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চার্জ বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তিটি চূড়ান্ত নয়৷