কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে ‘‘চুপিসারে, গায়ের জোর ফলিয়ে’’ ৩৭০ ধারা বাতিল করল, তার নিন্দা করে জম্মু ও কাশ্মীরের ৬৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক সম্প্রতি একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন৷ এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রখ্যাত চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, নাট্যকর্মী, সাংবাদিক, প্রাক্তন ভাইস এয়ার মার্শাল, গবেষক ও ছাত্রছাত্রীরা, যাঁদের অধিকাংশই কাশ্মীরী পণ্ডিত, ডোগরা ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ৷ সরকারের এই পদক্ষেপকে তাঁরা ‘‘অসাংবিধানিক এবং জম্মু–কাশ্মীরের মানুষকে দেওয়া ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির লংঘন’’ বলে মন্তব্য করেছেন৷ পিটিশনে তাঁরা বলেছেন, যেভাবে গণতন্ত্রের সমস্ত রীতিনীতি লংঘন করে রাজ্যের বিধানসভার মতামতের তোয়াক্কা না করে গোপনীয়তার আড়ালে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে জম্মু–কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া হল, তা কেন্দ্রীয় সরকারের চরম কর্তৃত্ববাদী মানসিকতার প্রকাশ৷
পিটিশনে তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা, জম্মু–কাশ্মীরের জনগণ জোরের সঙ্গে বলতে চাই যে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে, আমাদের অনুমতি ছাড়াই আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গৃহীত সিদ্ধান্তকে আইনসঙ্গত বলা যায় না৷ এই একতরফা, অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত যা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হল, আমরা তার নিন্দা করছি ও তা প্রত্যাখ্যান করছি৷’’
অবিলম্বে জম্মু–কাশ্মীরের উপর অবরোধ জারির পরিস্থিতি হঠিয়ে রাজ্যের মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ অবাধ করতে হবে এবং সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মুক্তি দিতে হবে বলে পিটিশনে দাবি তোলেন তাঁরা৷
সবশেষে তাঁরা বলেন, ‘‘জন্মভূমির এই বিভাজনে যন্ত্রণাবিদ্ধ আমরা এই সংকটের সময়ে একজোট হয়ে দাঁড়ানোর শপথ নিচ্ছি৷ জাতপাত, সংস্কৃতি এবং সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে আমাদের মধ্যে বিভাজন ঘটানোর যে কোনও অপচেষ্টা আমরা প্রতিরোধ করব৷’’
(সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ১১ আগস্ট, ২০১৯)