সম্প্রতি নেদারল্যান্ড সরকার ঘোষণা করেছে, ৬৫ বছরের বদলে অবসরের বয়স করা হবে ৬৭ বছর৷ প্রতিবাদে ২৮ মে পরিবহণ ধর্মঘটে গোটা দেশ স্তব্ধ করে দেয় সেখানকার শ্রমিক–কর্মচারীরা৷ পরদিন পালিত হয় জাতীয় পেনশন আন্দোলন দিবস৷
অবসরের বয়স বাড়ানো হলে একদিকে বেড়ে যাবে কর্মরত প্রবীণদের কাজের ভার, অন্যদিকে কমবে নতুন কর্মসংস্থান৷ স্বাভাবিক ভাবেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন সে দেশের খেটে খাওয়া শ্রমিক–কর্মচারীরা৷ দেশের বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন একজোট হয়ে ডাক দেয় ২৪ ঘন্টার পরিবহণ ধর্মঘটের৷ এ দিনের ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল নেদারল্যান্ডসের ভারি শিল্পের অন্তর্গত কল–কারখানাগুলিতে৷ বন্ধ ছিল রেল, বাস সহ সমস্ত পরিষেবা৷ বিমানবন্দরগুলিও ছিল স্তব্ধ৷ দোকানপাট, সরকারি দপ্তর এমনকী সুক্ল–কলেজগুলিও সাড়া দিয়েছিল এই ধর্মঘটে৷
পরদিন ২৯ মে আন্দোলনকারীরা হেগ, আর্নহেম ইত্যাদি শহরগুলিতে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ দেখান৷ দাবি তোলেন, অবসরের বয়স বাড়ানো চলবে না৷ স্লোগান ওঠে, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পেনশনের হার বাড়াতে হবে, স্ব–নিযুক্ত ও চুক্তি–শ্রমিক সহ দেশের সমস্ত শ্রমিক–কর্মচারীকে পেনশনের আওতায় আনতে হবে৷
নেদারল্যান্ডের বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলি এই ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিবৃতি দেয়৷ এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলে, ‘‘সরকার সুপরিকল্পিত ভাবে পেনশন–ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে খরচের বোঝা কমিয়ে ফেলতে চাইছে৷ … মজুরি ও সমাজ কল্যাণমূলক খাতে সরকারি খরচ ক্রমাগত কমিয়ে মেহনতি মানুষের ঘাড়ে আর্থিক বোঝা চাপাবার যে ষড়যন্ত্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন করেছে, এ দেশের সরকার সেই ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছে৷’’
এর আগে দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে গত ১৮ মার্চ এই দাবিতে জাতীয় প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়েছিল৷ তাতে সামিল হয়েছিলেন ৪০ হাজারেরও বেশি শ্রমজীবী মানুষ৷