১৮ মার্চ মন্দিরবাজার থানার ঢোলা–রামগঙ্গা রুটের সুলতানপুর মোড়ে মদের দোকান বন্ধ ও গাববেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে মদ মুক্ত করার দাবিতে পথ অবরোধ করে গাববেড়িয়া সাংস্কৃতিক মঞ্চ৷
সুলতানপুরের মদের দোকান ও নতুন করে আরও একটি মদের দোকানের অনুমোদন দেওয়ায় গাববেড়িয়া এলাকায় গড়ে ওঠে মদ বিরোধী এই মঞ্চ৷ ১৭ মার্চ সুলতানপুরের মদের দোকান থেকে মদ নিয়ে রাস্তায় ওঠার সাথে সাথে বাসের ধাক্কায় স্থানীয় এক যুবকের মৃত্যুতে এলাকার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং পরের দিন রাস্তা অবরোধ করেন৷ বিভিন্ন অঞ্চলের কয়েক হাজার নারী–পুরুষ তাতে সামিল হন৷ খবর পেয়ে, মন্দিরবাজার, কুলপি ও ঢোলা থানার পুলিশ উপস্থিত হয়৷ পরে ঘটনাস্থলে সি আই, মন্দির বাজারের ডিএসপি, সুন্দরবনের ডিএসপি বিশাল বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হন এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেন৷ পুলিশের আক্রমণে ৩০–৩৫ জন নারী–পুরুষ জখম হন৷ আন্দোলনের নেতা অরবিন্দ প্রামাণিক সহ ৭ জনকে (২ জন মহিলা সহ) গ্রেপ্তার করে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে৷ তাঁদের বেশ কয়েক দিন জেলে আটকে রাখা হয়৷ ১৯ মার্চ এলাকার নাগরিক গোপাল হালদার নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে৷ সরকারের এই ভূমিকায় এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে৷ গাববেড়িয়া সাংস্কৃতিক মঞ্চের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয়েছে এবং প্রস্তুতি চলছে আন্দোলনকে বৃহত্তর আকার দেওয়ার৷