এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেটে এস সি, এস টি ছাত্রছাত্রীদের জন্য পোস্ট–ম্যাট্রিক স্কলারশিপ, ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন, ন্যাশনাল ফেলোশিপ ফর এস সি, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন, নবোদয় বিদ্যালয় সমিতি, ইগনু মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সহ নানা শিক্ষামূলক সংস্থায় বরাদ্দ কমানো হয়েছে৷
তীব্র দারিদ্রের কারণে তপসিলি জাতি, উপজাতিভুক্ত যে সমস্ত মানুষ দাস শ্রমিকের কাজ করতে বাধ্য হন, তাদের পুনর্বাসন প্রকল্পেও বরাদ্দ ছাঁটাই করেছে মোদি সরকার৷ তপসিলি জাতি উন্নয়ন ও গ্রামীণ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ হ্রাস করা হয়েছে৷ সরকার স্বচ্ছ ভারতের ঢাক বাজালেও স্যানিটেশন খাতে বরাদ্দ কমিয়েছে৷ বরাদ্দ কমিয়েছে পানীয় জল প্রকল্পেও৷ একইভাবে তপসিলি উপজাতির উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট গ্রামীণ উন্নয়ন, পয়ঃপ্রণালী ও পানীয় জল প্রকল্পেও বরাদ্দ ছাঁটাই করা হয়েছে৷
ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন অন দলিত হিউম্যান রাইট (এন সি ডি এইচ আর ) গত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার গতি প্রকৃতি সম্পর্কে বলেছে, তপসিলি উপজাতি জন্য বরাদ্দ ৫, ০৫,০১৫ কোটি টাকা প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২, ২৯, ২৪৩২ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে মাত্র ৮১, ১৫৫ কোটি টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের কাছে গেছে৷ বাকি ১, ৪৮, ০৮৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে নন–টার্গেটেড স্কিমে, যার কতটুকু তপসিলি উপজাতিভুক্ত মানুষদের কাছে পৌঁছেছে বলা শক্ত৷ এ বছর এস সি–দের জন্য বরাদ্দ ৩১৫টি প্রকল্প এবং এসটিদের জন্য বরাদ্দ ২২৬ টি প্রকল্পকে নন–টার্গেটেড আওতাভুক্ত করা হয়েছে৷ এর ফলে সরকারি সুবিধা এস সি, এস টি মানুষের কাছে পৌঁছানো আরও কমে যাবে৷
এস সি–দের ক্ষেত্রে ৩৫.৬ শতাংশ এবং এস টি–দের ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি ঘোষণার আড়ালে নানা খাতে বরাদ্দ হ্রাস করা হয়েছে৷ তা ছাড়া ঘোষিত বরাদ্দ টাকার পুরোটা না দেওয়ার যে ট্র্যাডিশন তাতে এই বরাদ্দ বৃদ্ধি মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া কিছু নয়৷ তা ছাড়া ডাইরেক্ট বেনিফিটের সুবিধা কমানো হয়েছে৷ নানা অছিলায় সুবিধা আটকে দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে৷