জয়ী হল আশাকর্মীদের দীর্ঘ সংগ্রাম৷ বহু টালবাহানার পর ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী তাঁর ইচ্ছাকৃত মৌনতা ভেঙে আশা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন৷
এই জয়ে সংগ্রামী আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর এ আই ইউ টি ইউ সি–র সাধারণ সম্পাদক কমরেড শঙ্কর সাহা বলেন–‘লাগাতার এবং দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলনই এই জয় ছিনিয়ে এনেছে৷
তিনি বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও হেল্পারদের যথাক্রমে ১৫০০ টাকা ও ৭৫০ টাকা ভাতা বৃদ্ধি এবং আশা কর্মীদের দ্বিগুণ হারে ভাতা বৃদ্ধি পেলেও এটুকু তাঁদের প্রকৃত প্রাপ্যের তুলনায় কিছুই নয়৷ বিশেষত নির্দিষ্ট মাসিক বেতন না থাকা এবং কাজের আইটেম অনুযায়ী ভাতা মেলায় এলাকা ভিত্তিতে বেতনের বৈষম্য থাকছেই৷ বিজেপি সরকারের আমলে ভাতা বৃদ্ধি ঘটল এই প্রথম৷ যদিও আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা যেভাবে কমছে তাতে এই সামান্য ভাতাবৃদ্ধি একটু সাত্ব্ন্না ছাড়া কিছুই নয়৷
তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ ‘স্কিম ওয়ার্কার’দের কাছে আমাদের আবেদন, হাল ছেড়ে না দিয়ে ব্যাপক ঐক্যের ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তুলুন৷ মিড ডে মিল কর্মীদের সামান্য ভাতাটুকুও বাড়েনি৷ তাঁদেরও আন্দোলনে সামিল করুন৷ এই ধরনের সকল স্কিম ওয়ার্কারদের নিয়মিত কর্মচারীর মর্যাদা আদায়, ন্যূনতম ১৮ হাজার টাকা মজুরি, সামাজিক সুরক্ষা ইত্যাদি ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনের গড়ে তোলা সম্ভব৷
(৭১ বর্ষ ৮ সংখ্যা ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮)