বাসে ছাত্রছাত্রীদের বিনা পয়সায় যাতায়াতের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে কর্ণাটকে এআইডিএসও গত দু’বছর ধরে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল৷ সম্প্রতি সেই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়েছে৷
গত চার বছর ধরে কর্ণাটক রাজ্য খরা কবলিত৷ তার উপর মূল্যবৃদ্ধি, নোট বাতিল, জিএসটি ইত্যাদি মানুষের দুর্দশাকেই বাড়িয়েছে৷ বহু ছাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি জোগাতে না পেরে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বাড়িয়েছে৷ বাসভাড়াও অত্যধিক৷ বহুক্ষেত্রে ‘বাস পাস ফি’ কলেজের বাৎসরিক ফি–র থেকেও বেশি৷ এই অবস্থায় এআইডিএসও বাসে ফ্রি পাসের দাবিতে আন্দোলনে নামে৷ আন্দোলন ছাত্রদের বিপুল সমর্থন পায় এবং গোটা রাজ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে৷ যার ফলে পূর্বতন কংগ্রেস সরকার ঘোষণা করতে বাধ্য হয় সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ফ্রি পাস দেওয়া হবে৷
কিন্তু নির্বাচন পার হতেই কংগ্রেস–জে ডি এস সরকার দাবি পূরণ সম্পর্কে নেতিবাচক ভূমিকা নেয়৷ প্রতিবাদে স্কুল–কলেজ–হস্টেলে ছাত্র সংগ্রাম কমিটি গড়ে ওঠে৷ ডাকা হয় ধর্মঘট৷ ধর্মঘট বানচাল করতে সরকার স্কুলে–কলেজে হুমকি দিয়ে সার্কুলার পাঠায়৷ স্কুল–কলেজে পুলিশ মোতায়েন করে৷ তা সত্ত্বেও ছাত্ররা ওইদিন ক্লাস বয়কট করে ধর্মঘটে সামিল হয়৷
মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য৷ যার ফলে সংবাদপত্রগুলিও এই আন্দোলনের ব্যাপক প্রচার দিতে বাধ্য হয়৷ চ্যানেলগুলিতে ডি এস ও নেতৃবৃন্দকে ডাকা হয় বিষয়টি আলোচনার জন্য৷ সব মিলে সরকার এমন চাপে পড়ে যে, নতুন সরকার সরকারি স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ফ্রি পাসের দাবি মানতে বাধ্য হয়৷ সংগঠনের তরফে তখন সরকারকে বলা হয় বেসরকারি স্কুলেও বহু গরিব ও নিম্নআয়ের ঘরের ছাত্রছাত্রী অনেক অসুবিধার মধ্যেও পড়ে৷ তাদের জন্যও ফ্রি পাস দেওয়া হোক৷ মুখ্যমন্ত্রী এই দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন৷
(৭১ বর্ষ ২ সংখ্যা ১০ আগস্ট, ২০১৮)