ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার আদিবাসী অধ্যুষিত ২১টি ব্লকে বছরের পর বছর গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল না পাঠিয়ে ২০১৩ সাল থেকে কয়েক বছরের একত্রিত বিপুল অঙ্কের বিল পাঠানো হয়৷ খারাপ মিটারের মনগড়া বিল সহ চলতি বিলের সাথে ওই বকেয়া বিল জুড়ে বিশাল পরিমাণ টাকার বিল পাঠানো হচ্ছে যা আদিবাসী, গরিব বিপিএল গ্রাহক অধ্যুষিত এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব নয়৷
বিল না পাঠিয়ে বকেয়া করার জন্য গ্রাহকরা কোনও মতেই দায়ী নন, অথচ তাঁদের বিদ্যুৎ লাইন কাটা হল৷ অ্যাবেকার নেতৃত্বে গ্রাহক আন্দোলনের চাপে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ছয়টি ব্লকের বকেয়া অংশ লক করে চলতি বিলের আংশিক পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হলেও বাকি ১৫টি ব্লকে সেটা করা হয়নি৷ এই অবস্থায় অবিলম্বে সমস্ত বকেয়া বিল মকুব করে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ লাইন জুড়ে দেওয়ার দাবিতে ২৪ জুলাই শত শত আদিবাসী ও গরিব মানুষ বিদ্যুৎ ভবনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং চেয়ারম্যানের উদ্দেশে স্মারকলিপি দেন৷
অ্যাবেকার রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে সহ সভাপতি অমল মাইতি সহ চারটি জেলার নেতৃবৃন্দ ডেপুটেশনে অংশগ্রহণ করেন৷ স্মারকলিপিতে দাবি জানানো হয়েছে খারাপ মিটার, খারাপ ট্রান্সফরমার, বাঁশের খুঁটি অবিলম্বে পরিবর্তন করে রেগুলেশন অনুযায়ী বিল সংশোধন করতে হবে৷ কয়লার দাম ৪০ শতাংশ কমার ফলে সাশ্রয় হওয়া টাকা দিয়েই বিদ্যুৎ মাশুল ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি জানানো হয়েছে৷ অ্যাবেকার দাবি, জঙ্গলমহলের আদিবাসী–মূলবাসী–গরিব গ্রাহকদের দাবি মেনে রাজ্য সরকার ঘোষিত ৩০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই৷
(৭১ বর্ষ ১ সংখ্যা ৩ আগস্ট, ২০১৮)