৫ আগস্ট সর্বহারার মহান নেতা কমরেড শিবদাস ঘোষের স্মরণ দিবস উপলক্ষে তাঁর ‘কেন ভারতবর্ষের মাটিতে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) একমাত্র সাম্যবাদী দল’ পুস্তিকা থেকে একটি অংশ প্রকাশ করা হল৷
… আজকাল মার্কসবাদী–লেনিনবদী বিপ্লবী তত্ত্বের সর্বজনস্বীকৃত একটি কথারও অতি সরলীকৃত ও বিকৃত ব্যবহার চলছে যে, সত্যিকারের প্রোলেটারিয়ান চরিত্র আয়ত্ত করতে হলে জনগণের সঙ্গে এবং প্রোলেটারিয়েটের সঙ্গে মিশতে হবে৷ এ কথা ঠিক, এই জনগণের কাছে যাওয়া, প্রোলেটারিয়েটের সঙ্গে মেশা, শ্রমিকদের সঙ্গে মিশে যাওয়া, তাদের মধ্যে থাকা এবং তাদের মধ্যে বিপ্লবী তত্ত্ব ও পার্টি প্রোগ্রাম অনুযায়ী কাজ করা– এগুলো বিপ্লবী হওয়ার একটি অবশ্য শর্ত, এগুলো কর্মীদের মধ্যে কিছু কিছু পরিবর্তন আনতে নিশ্চয়ই সাহায্য করে থাকে৷ কিন্তু মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী পরিবার থেকে আসা ক্যাডাররা শুধুমাত্র এর দ্বারাই সঙ্গে সঙ্গে প্রোলেটারিয়ান বিপ্লবী চরিত্র আয়ত্ত করে ফেলবে– এটা হচ্ছে অতি সরলীকৃত ব্যাখ্যা৷ এই যদি হত, তা হলে গান্ধীবাদীরা জনগণের মধ্যে কাজ করেছে, যারা মার্কসবাদী আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হয়েছে তাদের মধ্যেও বহুলোকই জনগণের মধ্যে পড়ে থেকে কাজ করেছে৷ এ কথা বলা চলবে না যে, তারা সবাই ওপর থেকে বসে বসে জনগণকে শুধু বাণী দিয়েছে৷ আমাদের দেশেই এরকম হাজার একটা মার্কসবাদী বা কমিউনিস্ট কর্মী ও নেতার নমুনা আছে, যারা জনসাধারণের মধ্যে পড়ে থেকে কাজ করা এবং সমস্ত রকমের জঙ্গি লড়াই পরিচালনা করা সত্ত্বেও আজ একদম কমিউনিস্ট বিদ্বেষীতে পরিণত হয়েছে৷ এমনকী আজও চোখের সামনে দেখতে পাবেন, কমিউনিজমের আদর্শ, ঝান্ডা নিয়ে যারা কাজ করছে, দিনরাত মজুরদের মধ্যে পড়ে থাকছে, তাদের মধ্যেও শ্রমিক আন্দোলনে আজ বেশিরভাগই সুবিধাবাদী, তাদের অনেকেই আজ মালিকের দালালে পরিণত হয়েছে৷ তারা মজুরদের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে মজুরদের কমিউনিস্ট করতে পারেনি, তাদের মধ্যে বিপ্লবী চেতনা আনতে পারেনি, বরং বুর্জোয়া সমাজব্যবস্থার পর্যুদস্ত অবস্থায় মজুরদের যে নিম্নগামী সংস্কৃতি, তারা নিজেরাই তার শিকার হয়ে বসেছে৷
লেনিন বলেছেন, শ্রমিকদের কাছে যাও, তবে তারা যেমন অবস্থায় আছে তেমন হতে নয়, যাবে তাদের কমিউনিস্টের স্তরে উন্নীত করার জন্য– অর্থাৎ শ্রমিকদের মধ্যে যা আছে, তা গ্রহণ করবার জন্য আমরা তাদের কাছে যাই না৷ আমরা তাদের জীবন থেকে শিখতে যাই– এ কথার মানে হল, আমরা প্রোলেটারিয়ান বিপ্লবী রাজনীতি ও সংস্কৃতির যে ভাবনা–ধারণা জ্ঞান–বিজ্ঞান থেকে আয়ত্ত করেছি, তাদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে সেটাকে উন্নত করে আবার তাদের মধ্যে সেটা দিই৷ তাদের কমিউনিস্ট হিসাবে গড়ে তোলবার জন্য, উদ্বুদ্ধ করার জন্যই আমরা তাদের মধ্যে যাই৷ আমরা যারা তাদের কমিউনিস্ট হিসাবে উন্নত করব, সেই আমরা নিজেরাই যদি কমিউনিস্ট সংস্কৃতি আয়ত্ত করতে না পারি, তা হলে শুধুমাত্র কতকগুলো কমিউনিস্ট রাজনৈতিক বুকনি আউড়ে আমরা কি তাদের বিপ্লবী করতে পারি? না, তা কখনই সম্ভব নয়৷ তা হলে, জনগণের সাথে সংযোগ এবং জনগণের আন্দোলন যাঁরা পরিচালনা করবেন, তাঁদের এই আন্দোলন পরিচালনা করার সাথে সাথে দেখতে হবে, তাঁদের তত্ত্বটা ঠিক কি না, তাঁদের রাজনীতিটা বিপ্লবী কি না এবং তাঁদের নিজেদের জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সংস্কৃতি পাল্টাবার জন্য তাঁদের মধ্যে একটা জীবন্ত আন্দোলন তাঁদের প্রতিনিয়ত ‘গাইড’ (চালনা) করছে কি না৷ কাজেই কোনও সহজ রাস্তায় এর কোনও সমাধান নেই৷ একজন শ্রমিকও এই সমাজে বুর্জোয়া চিন্তাধারায় প্রভাবিত শ্রমিক৷ তার অবস্থান, তার সংস্কৃতি সমস্তই বুর্জোয়া সংস্কৃতির প্রভাবে প্রভাবিত – এই কথাটা সবসময় মনে রাখতে হবে৷ এ কথা ঠিক যে, সে শ্রমিক বলে তার পক্ষে বিপ্লবী শ্রেণিচরিত্র অর্জন করা অপেক্ষাকৃত সোজা, কিন্তু সেক্ষেত্রেও তাকে নিজেকে বুর্জোয়া ভাবধারার প্রভাব থেকে মুক্ত করে কমিউনিস্ট চেতনার স্তরে উন্নীত হতে হবে, নিজেকে পরিবর্তিত করতে হবে কমিউনিস্ট হিসাবে৷ যার জন্যই মার্কস বলেছেন, এই সমাজের শ্রমিকরা আগে নিজেদের বিপ্লবী হিসাবে পরিবর্তিত করবে, তবে সে বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে৷
এই প্রসঙ্গে আপনাদের এ কথাও মনে রাখা দরকার যে, ‘লুম্পেন প্রোলেটারিয়েট’ অর্থাৎ বুর্জোয়া শোষণের যাঁতাকলে এবং তার অপসংস্কৃতির শিকার বনে গিয়ে প্রোলেটারিয়েটের যে অংশ ইতিমধ্যেই ‘লুম্পেনে’ পর্যবসিত হয়েছে, তারা যতক্ষণ পর্যন্ত না এই লুম্পেন সংস্কৃতির প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করে মার্কসবাদী–লেনিনবাদী তত্ত্ব গ্রহণ এবং সেই অনুযায়ী নিজেদের জীবনকে পরিবর্তিত করতে সক্ষম হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিপ্লব সংগঠিত করা দূরের কথা, তাদের দ্বারা বিপ্লবী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করাই সম্ভব নয়৷ মার্কস থেকে মাও সে–তুঙ সকলেই বলেছেন, এই সমস্ত লুম্পেন প্রোলেটারিয়েটরা অবস্থাবিশেষে একটা সংগঠন গড়ে তুলতে পারে, এমনকী নানা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দাবিদাওয়া নিয়ে লড়ালড়িও করতে পারে, কিন্তু তার দ্বারা তারা বিপ্লব সংগঠিত করতে পারে না৷ বরং ইতিহাসে দেখা গেছে, এইসব লুম্পেন প্রোলেটারিয়েটদের সংগঠনগুলো কার্যকরীভাবে চিরকাল বিপ্লবের বিরোধিতাই করে থাকে এবং মেকি বিপ্লবী দলগুলোর দ্বারা বিপ্লবের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ এখন, এই কমিউনিস্ট হবার প্রক্রিয়ায় মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে ছাড়তে হবে মধ্যবিত্ত শ্রেণিসুলভ ভাবালুতা, পেটিবুর্জোয়া দোদুল্যমানতা, অভ্যাস, আচরণ ও সর্বোপরি ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তাপদ্ধতি৷ আর, শ্রমিককে ছাড়তে হবে শ্রমিকদের যেগুলো গ্রাম্য অভ্যাস অর্থাৎ পুরনো সামন্তী সমাজের কুসংস্কার এবং নানা ধরনের বুর্জোয়া অপসংস্কৃতি এবং নোংরা ব্যক্তিবাদের প্রভাব থেকে তাদের নিজেদের মুক্ত করতে হবে৷ আমাদের দেশের মতো একটি পিছিয়ে পড়া অথচ প্রতিক্রিয়াশীল পুঁজিবাদী দেশের শ্রমিকদের মধ্যে প্রচলিত সমাজব্যবস্থার তিন ধরনের প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়৷ যতক্ষণ বিপ্লবী চেতনায় উদ্বুদ্ধ না হচ্ছে, ততক্ষণ তিনটে ভাগে তাকে ভাগ করা যায়৷ শ্রমিকরা যারা চাষি পরিবার থেকে এসেছে এবং চাষি সমাজের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ সমাজের, সামন্তী সমাজের সংস্কার, একগুঁয়েমি এবং নানা ধরনের গ্রাম্য অভ্যাস৷ তারা শ্রমিক হওয়া সত্ত্বেও গ্রামীণ সামন্তী সমাজের সংস্কৃতির তারা শিকার৷ তার থেকে তাদের নিজেদের মুক্ত করতে হবে৷ আর একদল শ্রমিক যারা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে অর্থনৈতিক কারণে মজুরে পর্যবসিত হয়ে শ্রমিকদের মধ্যে এসেছে, তারা শ্রমিকে পরিণত হওয়া সত্ত্বেও বাবুসমাজের সাথে তাদের সংস্কৃতিগত, অভ্যাসগত, রুচিগত যোগাযোগ আজও চলে না যাবার ফলে তারা মজুরদের মধ্যে নিয়ে আসছে মধ্যবিত্ত বাবুসমাজের ভাবালুতা, পেটিবুর্জোয়া দোদুল্যমানতা এবং ব্যক্তিনেতৃত্বের কোন্দল ও অর্থনীতিবাদ৷ আর একদল শ্রমিক, তাদের সংখ্যা যদিও কম, তারা এই দুটো ভাবধারা থেকেই একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে শ্রেণি অবস্থানের দিক থেকে সর্বহারার সবচাইতে বিপ্লবী অংশে পর্যবসিত হয়েছে৷ শ্রমিকদের মধ্যে তারাই সবচাইতে বেশি বিপ্লবী– এই অর্থে যে, পুরনো সমাজের সাথে তাদের সমস্ত প্রকার সামাজিক সম্পর্কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু তারাও বুর্জোয়া সমাজের মধ্যে যেটা সবচাইতে প্রতিক্রিয়াশীল সংস্কৃতি, অর্থাৎ নোংরা ব্যক্তিবাদ, বেপরোয়াভাব– যে বেপরোয়াভাব হচ্ছে উদ্দেশ্যহীন অর্থাৎ অন্ধ প্রকৃতির– তার সম্পূর্ণ শিকার৷ শিক্ষিত, তথাকথিত জ্ঞানালোকপ্রাপ্ত বুর্জোয়াদের মধ্যে শিক্ষার আবরণের জন্য যেটাকে আমরা অন্যরকম ভাবে দেখি, শিক্ষা বাদ দিয়ে ওই নোংরা ব্যক্তিবাদের প্রভাব এই সমস্ত শ্রমিকদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়৷ ফলে শ্রমিকদের মধ্যে এই যে খুব অগ্রণী অংশ, যারা শ্রেণিগত অবস্থানের দিক থেকে সবচেয়ে বিপ্লবী, তাদেরও যদি ওই বুর্জোয়া নোংরা ব্যক্তিবাদের মানসিকতা থেকে মুক্ত করে তাদের মধ্যে সমষ্টির প্রতি দায়–দায়িত্ব এবং সমষ্টিগত দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করতে পারা না যায় এবং তাদেরও যদি কমিউনিস্ট চেতনার স্তরে উন্নীত করতে না পারা যায়, তা হলে তারাও কমউিনিস্ট হতে পারে না৷ সুতরাং, তাদেরও কমিউনিস্ট চরিত্র আয়ত্ত করতে হবে৷
তা হলে এই আলোচনার মধ্য দিয়ে আপনারা সহজেই বুঝতে পারছেন, মার্কসবাদী এবং বিপ্লবী হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলতে হলে প্রত্যেককেই ব্যক্তিগতভাবে ও সম্মিলিতভাবে সঠিক পদ্ধতিতে সচেতন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মার্কসবাদকে একটি সত্যিকারের জীবনদর্শন হিসাবে গ্রহণ করতে হবে যা জীবনের প্রতিটি দিককে প্রভাবিত করবে এবং পরিবর্তিত করবে৷ শুধু রাজনৈতিক তত্ত্ব বিশ্লেষণের জন্য মার্কসবাদ– এভাবে মার্কসবাদকে গ্রহণ করলে বা দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের তিনটি সূত্র মুখস্থ করে ফেলতে পারলে, তার দ্বারাই কেবলমাত্র কেউই মার্কসবাদী–লেনিনবাদী হতে পারে না৷ পার্টির কোনও না কোনও সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে জনগণের বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তোলার সংগ্রামের মধ্যে সক্রিয়ভাবে নিজেকে যুক্ত রেখে ব্যক্তিচিন্তা ও ব্যক্তিস্বার্থকে সর্বহারা শ্রেণির বিপ্লবী চিন্তাভাবনা ও স্বার্থের সাথে অর্থাৎ বিপ্লবের স্বার্থের সাথে একাত্ম করে গড়ে তোলার নিরলস সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উন্নত সংস্কৃতিগত মান অর্জন করার পথেই কেবলমাত্র একজন ব্যক্তি কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বকারী কর্মীতে পরিণত হতে পারে৷ এই সংগ্রামটিকে এড়িয়ে গিয়ে যে কেউ যত বড় ক্ষমতাবানই হোন না কেন, কারোরই কমিউনিস্ট হওয়ার উপায় নেই৷ এমনকী, মানবেন্দ্রনাথ রায়ের মতো যে ক্ষমতাবান ‘ইনটেলেকচুয়াল’, তিনিও বাস্তবে এই সংগ্রামটি এড়িয়ে গিয়েই শেষপর্যন্ত কমিউনিস্ট হতে পারলেন না৷ অথচ, মানবেন্দ্রনাথ রায়ের পাণ্ডিত্য (intellectual ability) এত উঁচুস্তরে ছিল যে, সেই পাণ্ডিত্যের কাছে সুভাষচন্দ্র বোস, জহরলাল নেহেরু এবং এমনকী তদানীন্তন অনেক সমাজতান্ত্রিক এবং মার্কসবাদী নেতারাই মাথা ঝুঁকিয়েছেন৷ তৎকালীন সময়ে ভারতবর্ষে এই একজন মাত্র মার্কসবাদী বলে পরিচিত নেতা, যিনি জ্ঞান–বিজ্ঞানের প্রায় সমস্ত শাখাতেই বিচরণ করেছিলেন৷ অথচ, এতবড় একটা ক্ষমতা নিয়ে লেনিনের সঙ্গে থেকে কমিউনিস্ট আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও তিনি শেষপর্যন্ত ঘোরতর কমিউনিস্ট বিদ্বেষীতে পরিণত হয়েছিলেন৷ ‘ইনটেলেকচুয়াল অ্যাপটিচুড’ এত উঁচুস্তরে থাকা এবং জ্ঞান–বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তাঁর দখল– এসব কোনও কিছুই শেষপর্যন্ত তাঁকে রক্ষা করতে পারেনি৷ এর কারণ, জ্ঞান–বিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্বগুলোকে আয়ত্ত করার সাথে সাথে দ্বন্দ্বমূলক পদ্ধতিতে সেগুলোকে সংযোজিত (co-ordinate) করতে না পারার ফলে ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি আচরণ, অভ্যাস ও রুচির প্রকাশ মার্কসবাদ–লেনিনবাদ এবং বিপ্লবী আন্দোলনের পরিপূরক কি না, সেদিকে লক্ষ রেখে শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থের সাথে একাত্ম করে নিজেকে গড়ে তোলার সংগ্রামটি তিনি পার্টির অভ্যন্তরে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেননি৷ ফলে, এতবড় ক্ষমতার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি শেষপর্যন্ত একজন চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়াশীল কমিউনিস্ট বিদ্বেষীতে পরিণত হয়েছিলেন৷
নির্বাচিত রচনাবলি, দ্বিতীয় খণ্ড
১৯৬৯ সালের ভাষণ
(৭০ বর্ষ ৪৯ সংখ্যা ২৭ জুলাই, ২০১৮)