বিদ্যুতে লোকসান সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যোৎ চৌধুরী ৩০ জুন এক বিবৃতিতে বলেন, গত ২৮ জুন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বিদ্যুতে লোকসান কমানোর জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে কে চেয়ারম্যান করে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করে বলেছেন, রাজ্যে বাণিজ্যিক ও কারিগরি ক্ষতির পরিমাণ বর্তমানে ২৮ শতাংশ এবং এই ক্ষতির পরিমাণ তিনি ১১ শতাংশে নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন৷ এই তথ্য আদৌ সঠিক নয়৷ অ্যাবেকার সভাপতি সঞ্জিত বিশ্বাস রাজ্য বিদ্যুৎ কমিশনের জন্মলগ্ন থেকেই উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম, বন্টন কোম্পানির বর্তমান লোকসানের পরিমাণ ২২ শতাংশ এবং সিইএসসি–র ১২ শতাংশ৷
কমিশনের অর্ডারেও সেই তথ্য রয়েছে৷ বিদ্যুৎ মাশুল যাতে কমাতে না হয় সেইজন্যই মুখ্যমন্ত্রী লোকসানের পরিমাণ বেশি করে বলেছেন৷ এর দ্বারা উনি আগামী নির্বাচনে অস্বস্তিকর প্রশ্ন এড়াতে চাইছেন৷ না হলে তাঁকে উত্তর দিতে হয় বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সারা ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ মাশুল কেন বেশি– এই প্রশ্নের৷ মিথ্যা লোকসানের গল্পে আকাশছোঁয়া বিদ্যুৎ মাশুলকে ন্যায়সঙ্গত বলার চেষ্টা করেছেন তিনি৷
মুখ্যমন্ত্রী ভালো করেই জানেন, ২০১৬–’১৭ সাল থেকে কয়লার দাম কমেছে ৪০ শতাংশ, জিএসটি কমেছে ৭ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও কারিগরি ক্ষতির পরিমাণ কমেছে ২ শতাংশ৷ এর ফলে সরকার পরিচালিত কোম্পানি এবং বেসরকারি সিইএসসি–র সাশ্রয় হয়েছে মোট ৮,৫৩৯.১৪ কোটি টাকা৷ এই টাকা দিয়ে লোকসান আরও কমানো এবং মাশুল কমানো যেতে পারে৷ আমরা মনে করি, প্রকৃতপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বেঠিক তথ্য এবং লোকসানের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে মাশুল কমাবার দাবিকে অস্বীকার করেছেন৷ আমরা এই বিভ্রান্তিকর অসত্য বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করছি৷মাশুল কমানোর দাবি এড়াতেই লোকসানের গল্প
বিদ্যুতে লোকসান সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যোৎ চৌধুরী ৩০ জুন এক বিবৃতিতে বলেন, গত ২৮ জুন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বিদ্যুতে লোকসান কমানোর জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে কে চেয়ারম্যান করে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করে বলেছেন, রাজ্যে বাণিজ্যিক ও কারিগরি ক্ষতির পরিমাণ বর্তমানে ২৮ শতাংশ এবং এই ক্ষতির পরিমাণ তিনি ১১ শতাংশে নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন৷ এই তথ্য আদৌ সঠিক নয়৷ অ্যাবেকার সভাপতি সঞ্জিত বিশ্বাস রাজ্য বিদ্যুৎ কমিশনের জন্মলগ্ন থেকেই উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম, বন্টন কোম্পানির বর্তমান লোকসানের পরিমাণ ২২ শতাংশ এবং সিইএসসি–র ১২ শতাংশ৷
কমিশনের অর্ডারেও সেই তথ্য রয়েছে৷ বিদ্যুৎ মাশুল যাতে কমাতে না হয় সেইজন্যই মুখ্যমন্ত্রী লোকসানের পরিমাণ বেশি করে বলেছেন৷ এর দ্বারা উনি আগামী নির্বাচনেস্বস্তিকর প্রশ্ন এড়াতে চাইছেন৷ না হলে তাঁকে উত্তর দিতে হয় বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সারা ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ মাশুল কেন বেশি– এই প্রশ্ণের৷ মিথ্যা লোকসানের গল্পে আকাশছোঁয়া বিদ্যুৎ মাশুলকে ন্যায়সঙ্গত বলার চেষ্টা করেছেন তিনি৷
মুখ্যমন্ত্রী ভালো করেই জানেন, ২০১৬–’১৭ সাল থেকে কয়লার দাম কমেছে ৪০ শতাংশ, জিএসটি কমেছে ৭ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও কারিগরি ক্ষতির পরিমাণ কমেছে ২ শতাংশ৷ এর ফলে সরকার পরিচালিত কোম্পানি এবং বেসরকারি সিইএসসি–র সাশ্রয় হয়েছে মোট ৮,৫৩৯.১৪ কোটি টাকা৷ এই টাকা দিয়ে লোকসান আরও কমানো এবং মাশুল কমানো যেতে পারে৷ আমরা মনে করি, প্রকৃতপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বেঠিক তথ্য এবং লোকসানের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে মাশুল কমাবার দাবিকে অস্বীকার করেছেন৷ আমরা এই বিভ্রান্তিকর অসত্য বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করছি৷
(৭০ বর্ষ ৪৬ সংখ্যা ৬ জুলাই, ২০১৮)