ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৪ মে রাজ্য সরকারগুলিকে ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধ বাংলাদেশী নাগরিকদের চিহ্নিতকরণের নির্দেশ জারির পর আসাম পুলিশ এবং বর্ডার পুলিশ বিদেশি চিহ্নিতকরণের নামে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক হিসাবে কর্মরত ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গরিব মানুষদের ব্যাপক হারে গ্রেফতার করছে। এ সম্পর্কে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) দলের আসাম রাজ্য কমিটি এক বিবৃতিতে বলে যে, আসাম সরকার উপযুক্ত আইনি প্রক্রিয়ায় বিদেশি চিহ্নিত করার পথে না গিয়ে যে ভাবে প্রশাসনিক গা-জোয়ারি প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং অগণতান্ত্রিক।
এর ফলে প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের হেনস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। রাজ্য কমিটি মনে করে, একমাত্র আদালতের বিচারের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিক চিহ্নিত করে তাঁদের বহিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।
আদালতেরদ্বারা চিহ্নিত বিদেশি নাগরিকদের বহিষ্কারের ক্ষেত্রে আসাম রাজ্য কমিটি দৃঢ় ভাবে মনে করে– এ ক্ষেত্রে দেশের সাংবিধানিক রীতিনীতি, প্রাসঙ্গিক আইন, সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন এবং রীতিনীতির ভিত্তিতে আদালত কর্তৃক চিহ্নিত বিদেশি নাগরিকদের, তাঁদের নিজের দেশের সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেই দেশের সরকারের সম্মতির ভিত্তিতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক যাতে হয়রানির সম্মুখীন না হন, তা সুনিশ্চিত করতে একমাত্র আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিদেশি চিহ্নিত করতে হবে বলে রাজ্য কমিটি দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করছে।
এই লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৪৩ সংখ্যা ৬ – ১২ জুন ২০২৫ এ প্রকাশিত