Breaking News

 মিসাইল কেন্দ্র বিরোধী বাইক ব়্যালি জুনপটে

১৩ এপ্রিল পরিবেশ রক্ষার স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে প্রায় শতাধিক মোটর সাইকেল মিছিল জুনপুটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জুনপুটে মিসাইল ও হরিপুরে পরমাণু চুল্লি বিরোধী গণপ্রতিরোধ মঞ্চ, কন্টাই সায়েন্স সেন্টার, কাঁথি উপকূলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটি, মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস-এর মতো পাঁচটি সংগঠনের ডাকে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আইআইএসইআর কলকাতার বিজ্ঞানী অধ্যাপক অয়ন ব্যানার্জী, বিশিষ্ট ভূ-বিজ্ঞানী অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়, ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি অধ্যাপক নীলেশ রঞ্জন মাইতি, রাজ্য সম্পাদক তপন কুমার শী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিজ্ঞানীরা। ‘হাজার হাজার মৎস্যজীবী ও গ্রামবাসীকে জীবন-জীবিকা থেকে উচ্ছেদ করে এবং উপকূল এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে উৎক্ষেপণ কেন্দ্র একদম উচিত হবে না বলে জানান উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

তাঁরা বলেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড সহ বেশির ভাগ দেশেই রয়েছে একটা করে মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র। ভারতে ওড়িশার চাঁদিপুর এবং তামিলনাড়ুর শ্রীহরিকোটাতে ইতিমধ্যে মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র রয়েছে। তারপরও যদি আবার একটা মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র করতেই হয় তা হলে জনমানবশূন্য কোনও স্থানে তা করা হোক, মৎস্যজীবীদের উচ্ছেদ করে, প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে জুনপুটে নয়। জুনপুটে সরকারের পক্ষ থেকে মৎস্য সংরক্ষণ শিল্প, পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হোক। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সেখানে একটি প্রতীকী বটগাছের চারা পোঁতা হয়। বাইক মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় জুনপুটের মৎস্যজীবী ও এলাকাবাসীর অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। গ্রামে গ্রামে মহিলারা এই বাইক মিছিলকে স্বাগত জানান।