পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী কন্ট্রাকচুয়াল ইউনিয়নের রাজ্য যুগ্ম-সম্পাদিকা কেকা পাল জানান, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পৌরসভায় কর্মরত স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা) অধীনস্থ এইচএইচডব্লু কর্মীদের উপর কাজের চাপ বেড়েই চলেছে।
অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে এই কর্মীরা শহরাঞ্চলে মা, শিশু ও সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেন। অথচ ভাতার পরিমাণ মাত্র ৫,২৫০ টাকা সহ যৎসামান্য ইনসেনটিভ। এই দিয়ে একজন মানুষেরও খাওয়া-পরা চালানোই কষ্টকর। এই কর্মীদের পারিশ্রমিক সরকার ঘোষিত নূ্যনতম মজুরির ধারে কাছেও নেই। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য বাজেটেও এই কর্মীদের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা হয়নি।
এই অবস্থায় কর্মীদের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি পুনরায় কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এপ্রিল মাসে রাজ্যের সমস্ত জেলায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া চলছে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে। দাবি পূরণ না হলে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফরম্যাট জমা না দেওয়া সহ বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ২২ আগস্ট আশাকর্মীদের সাথে যৌথভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন অভিযান করবেন তাঁরা।
ইউনিয়নের দাবি– কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ১৫ হাজার টাকা করা, ফরম্যাটের প্রতিটি কলামের জন্য ইনসেনটিভ বৃদ্ধি , স্থায়ীকর্মীর স্বীকৃতি দিয়ে সমকাজে সমবেতন পরিকাঠামো চালু, ছুটি সহ সকল সুবিধার সুযোগ, পিএফ, ইএসআই সহ সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া, অবসরকালীন ভাতা ৫ লক্ষ টাকা, কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুতে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ, কর্মক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করা প্রভৃতি।
লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা ১৮ এপ্রিল ২০২৫ এ প্রকাশিত