৩০ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ থাকা এক তরুণীর পরিবারের আর্জিতে সামান্য কর্ণপাতও করেনি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশের এই ভূমিকার ফলে পরের দিন তাঁর ক্ষতবিক্ষত, নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হল এক নালা থেকে।
অযোধ্যা নিয়ে বিজেপি-আরএসএস বাহিনীর প্রচারের শেষ নেই। সেই অযোধ্যায় ভাগবত পাঠ শুনতে যাওয়া তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বীভৎস ভাবে খুন করল দুষ্কৃতী বাহিনী। এর আগেও অযোধ্যায় একাধিক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কিন্তু নির্বিকার। সরকার এবং প্রশাসনের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে ৩ ফেব্রুয়ারি এস ইউ সি আই (সি)-র পূর্ব উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সম্পাদক রবিশঙ্কর মৌর্য এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশ মূক-বধির সেজে থেকে অপরাধীদের দুষ্কর্মের সুযোগ করে দিয়েছে। সরকার এখন কিছু ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে দায়িত্ব শেষ করে দিতে চাইছে। উত্তরপ্রদেশ অপরাধীদের অবাধ বিচরণের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, মহাকুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনাতেও উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে মিথ্যাপ্রচারের পর্দা ফাঁস হয়ে গেছে।
কমরেড রবিশঙ্কর মৌর্য বলেন, উত্তরপ্রদেশে ছাত্রী থেকে শুরু করে সমস্ত মহিলার নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। সমাজে ভয়ের বাতাবরণ বিরাজ করছে। দলের পক্ষ থেকে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি এবং গাফিলতির জন্য দায়ী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।