কিছু মানুষের বিশ্বাস ছিল, আর জি কর ঘটনার তদন্তের ভার যখন রাজ্য পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে গেছে তখন দোষীরা ধরা পড়বেই।সিবিআইয়ের হাত থেকে কেউই রেহাই পাবে না।
কিন্তু দিন যত গেছে আশা হতাশায় পরিণত হয়েছে। ৯০ দিন পরেও হাসপাতালের পূর্বতন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি সিবিআই। এই মামলায় শিয়ালদহ আদালতের বিচারপতি অনির্বাণ দাস তাঁর রায়ের ছত্রে ছত্রে সিবিআই এবং পুলিশের তদন্তে চরম গাফিলতির উল্লেখ করে গেছেন। সিবিআই যে নতুন করে তদন্তের কোনও রিপোর্টই আদালতে জমা দেয়নি তা-ও তিনি বলেছেন। কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসার এবং টালা থানার ত্রুটি ও পদে পদে ব্যর্থতার কথাও তিনি তাঁর রায়ে তুলে ধরেছেন। পুলিশের দায়সারা মনোভাবের জন্যই মর্গ থেকে শুরু করে ঘটনাস্থল এবং সন্দেহভাজনদের নানা রকমের নমুনা যতটুকু সংগ্রহ করা হয়েছে তা-ও অত্যন্ত হেলাফেলায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নমুনাই সংগ্রহ করা হয়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রথম থেকেই ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টার কথা বিচারপতি তাঁর রায়ে উল্লেখ করে গেছেন। বলেছেন, ওই চিকিৎসক-ছাত্রীর ‘আত্মঘাতী’ হওয়ার গল্প বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রায়ে বলা হয়েছে ঘটনাস্থলে শুরু থেকে পুলিশের নমুনা সংগ্রহ পর্যন্ত আগাগোড়া উপস্থিত ছিলেন এই ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অন্য মামলায় ধৃত তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। অধ্যক্ষ এবং সুপার ধর্ষণ এবং খুনের কথা শুনেও তা পুলিশকে সরকারি ভাবে জানাননি। রায়ে তিনি বলেছেন, মনে হচ্ছে যে তাঁরা কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এবং তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতি ছিল।
ধর্ষণ ও খুনের এমন একটি মারাত্মক ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে বিচারক তাঁর রায়ে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন। অথচ সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট পর্যন্ত জমা দিল না! তা হলে কী এমন ঘটল যে সিবিআই এ ভাবে তাঁদের জামিন পাওয়ার সুযোগ করে দিল। কার নির্দেশে সিবিআই এই কাজ করল? এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র এবং কেন্দ্র-রাজ্যের যোগসাজশের যে অভিযোগ প্রথম থেকেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার এবং জনসাধারণ করে আসছিলেন তার সত্যতাই বিচারকের পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত হল। তা হলে এমন তদন্তের উপর ভিত্তি করে বিচারকে কেন প্রহসন বলা হবে না? ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় কি এতটাই প্রভাবশালী যে তার অপরাধ ঢাকতে কেন্দ্র রাজ্য দুই সরকারই এত তৎপর হল? বুঝতে আর কারও অসুবিধা নেই যে আরও অনেক বড় বড় মাথাকে বাঁচাতেই তদন্তের নামে পুলিশ-সিবিআইয়ের এই প্রহসন। এই তদন্তের ভিত্তিতে বিচারও বাস্তবে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
প্রশাসনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলির মতো পুলিশেরও দল-মত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করা সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু সব সরকারই পুলিশকে দলদাস হিসাবে ব্যবহার করে। আর জি করের ঘটনাতেও পুলিশ রাজ্য সরকারের নেতা-মন্ত্রীদের নির্দেশ মতো সত্য চাপা দিতে প্রথম থেকেই হাসপাতাল প্রশাসনের সহযোগী হিসাবে প্রমাণ লোপাটের কাজে নেমে পড়ে। অন্য দিকে প্রবল গণবিক্ষোভকে স্তিমিত করতে এবং জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে পুলিশ তড়িঘড়ি সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে এবং তাকেই একমাত্র ধর্ষক ও খুনি বলে জনসমক্ষে প্রচার করতে থাকে। কিন্তু যতটুকু তথ্য-প্রমাণ তখনই প্রকাশ পায় তাতে মানুষের সাদা চোখেই পুলিশের এই মিথ্যাচার ধরা পড়ে যায়। আসল দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবিতে আন্দোলন ছড়াতে থাকে বাংলার এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে, ছড়ায় দেশ জুড়ে। এই রকম অবস্থায় তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের অতীত থেকেই স্পষ্ট যে তার স্বাধীন সত্তা বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। বারবার দেখা গেছে তারা চলে আসলে পিছনে থাকা সুতোর টানে। যা দেখে বিভিন্ন মামলায় বিচারপতিরা তাকে খাঁচার তোতা বলে অভিহিত করেছেন। আর জি করের ঘটনায় তদন্তের ক্ষেত্রেও সিবিআই নিজেদের সেই খাঁচার তোতা বলেই প্রমাণ করল। তাই তাঁরা নিজেরা যতটুকু তদন্ত করেছে তার রিপোর্টটুকুও আদালতে জমা দিতে পারল না। তদন্তের নামে পুলিশের যে ছেলেখেলার বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল সেই পুলিশি রিপোর্টেই তারা স্ট্যাম্প দিয়ে দিল।
পুলিশ এবং সিবিআই উভয়েরই তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা জনমনে শূন্যে নেমে এসেছে বুঝেই বোধহয় মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি বলেছেন, ‘‘আমাদের হাতে তদন্ত থাকলে আরও আগেই ফাঁসির রায় করিয়ে দিতে পারতাম।’’ বিচারক তাঁর রায়ে বলছেন, তদন্তকারীরা যা তথ্যপ্রমাণ সামনে এনেছেন তাতে তিনি এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসেবে গণ্য করছেন না। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ফাঁসির রায় দেওয়া যায় না। তারপরও মুখ্যমন্ত্রীর মতো একটি সাংবিধানিক পদে থাকা কেউ কী করে বলতে পারেন– ‘ফাঁসির রায় করিয়ে দিতে পারতাম’! দেখেশুনে মনে হয়, ঘটনার সত্য উদঘাটনের থেকেও যে কোনও প্রকারে কাউকে একটা ফাঁসিতে চড়ানোই মুখ্যমন্ত্রীর আসল উদ্দেশ্য। প্রতি পদে পুলিশের যে গাফিলতি এবং তথ্য-প্রমাণ লোপাটের স্পষ্ট প্রমাণ বিচারকের রায়ে উঠে এসেছে তাতে যারপরনাই লজ্জিত না হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি করলেন কেন? সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট সহ সমস্ত তথ্যপ্রমাণে যখন একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তখন একজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে তাকেই চরম শাস্তি দেওয়ার কথা বলা কি আসলে যে কোনও উপায়ে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার সত্য উদঘাটনের দায়িত্ব থেকে হাত ধুয়ে ফেলার চেষ্টা নয়?
আসলে এই ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষীদের বাঁচাতে রাজ্য সরকার এবং তার পুলিশ বাহিনীর ঘৃণ্য ভূমিকা দেশের মানুষের কাছে একেবারে বেআব্রু হয়ে গেছে। ধিক্কারে ফেটে পড়েছে মানুষ। এই গণবিক্ষোভ থেকে নিজেদের আড়াল করতেই মুখ্যমন্ত্রীর এমন সাধু সাজার চেষ্টা। এর পিছনে রয়েছে মানুষকে আবার বিভ্রান্ত করার প্রয়াস যে, তাঁরা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সম্পূর্ণ আপসহীন। তাই ফাঁসির মতো চরম সাজাই তাঁরা দাবি করছেন। ভাবটা এমন যেন, কী করা যাবে, বিচারক তো মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে আমৃত্যু জেলের রায় দিলেন! অর্থাৎ দোষীর ফাঁসি না হোক, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তো হয়েছে! এরপর নিশ্চয় দেশবাসীর আর ক্ষোভের কোনও কারণ থাকল না এবং এই পর্ব এখানেই সমাপ্ত হল। আর কেউ সরকার এবং প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলবেন না। শান্তি শান্তি শান্তি!
আসলে রাজ্য জুড়ে যে বিরাট দুর্নীতিচক্র মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দল ও প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষণায় রমরম করে চলছে সেই চক্রের কোনও একটি শৃঙ্খল ভেঙে পড়লে গোটা চক্রটাই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই দুর্নীতিচক্রেরই অন্যতম অংশ হাসপাতালগুলির দুর্নীতি– আর জি করের দুর্নীতিও যার অংশ– যার বিরোধিতা করতে গিয়েই চিকিৎসক-ছাত্রীর এমন মর্মান্তিক পরিণতি। কান টানলে মাথা এসে যাওয়ার সম্ভাবনা এখানে প্রবল। তাই দোষীদের আড়াল না করে মুখ্যমন্ত্রীর উপায় নেই। কিন্তু তাঁর এই সমস্ত চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যেত যদি সিবিআই তার দায়িত্ব ঠিক ঠিক মতো পালন করত। কেন সিবিআই তা করল না? কেন্দে্র বিজেপি সরকারের শাসন তো রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরোধী বলে পরিচিত। রাজ্যের বিজেপি নেতারাও তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি-খুন-ধর্ষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই হুঙ্কার ছাড়েন। নির্বাচনের আগে প্রায়ই ছুটে আসেন স্বরাষ্টমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীরাও। তা হলে বিজেপি সরকার এবং তার নেতা-মন্ত্রীরাই বা সিবিআইয়ের এমন ভূমিকায় মুখে কুলুপ আঁটলেন কেন?
কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় দলেরই ধারণা সাধারণ মানুষ বোকা। তাঁরা যা বোঝাবেন মানুষ তা-ই বুঝবেন। ক্ষমতার দম্ভ সব শাসককেই এমন সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। তাঁরা মনকে চোখ ঠারেন। বাস্তবে মানুষের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে উভয় শাসক দলই ভয় পাচ্ছে গণআন্দোলনকে, সেই আন্দোলনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত এবং সক্রিয় যোগদানকে। এই আন্দোলন যদি ন্যায়বিচারের দাবি আদায় করতে পারে তবে সারা দেশে তা নজির তৈরি করবে। শাসকদের সমস্ত রকম অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের হাতিয়ার হিসাবে মানুষ গণআন্দোলনকেই ব্যবহার করবে। রাজ্যে রাজ্যে বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দুর্নীতি-অপশাসন ছাড়াও মহিলাদের উপর খুন-ধর্ষণ যে ভাবে মাত্রাছাড়া আকার নিচ্ছে তাতে সেই রাজ্যগুলিতেও এই আন্দোলনের ঢেউ উঠবে। বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের সেখানেই ভয়। তাতে যদি তৃণমূল নেতৃত্ব জনরোষ থেকে নিজেদের আড়াল করার কিছুটা সুবিধা পেয়েও যায় তাতে তাঁদের কিছু যায় আসে না। পুলিশ-সিবিআই-বিচারব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা যদি লোকচক্ষে তলানিতে গিয়েও ঠেকে তাতেও পরোয়া নেই। বাস্তবে কেন্দ্র ও রাজ্যের এই হিসাবই কাজ করছে তদন্তের এই নজিরবিহীন প্রহসনের পিছনে।
কেন্দ্র-রাজ্য সব সরকারই চায় দেশের সাধারণ মানুষ যেন নিজেদের দাবিতে সংগঠিত না হয়, নিজেদের জীবনের সংকট নিয়ে সোচ্চার না হয়। তারা যেন কায়েমি স্বার্থের রক্ষক রাজনৈতিক দলগুলির উপরই নির্ভরশীল হয়ে থাকে। পুঁজিপতি শ্রেণির সেবাদাস, দুর্নীতিগ্রস্ত, আত্মসর্বস্ব নেতাদের বিরুদ্ধে আঙুল না তোলে।
কিন্তু সাধারণ মানুষ, যাঁরা এতবড় একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে শাসক দলগুলির আঁতাঁত চোখের সামনে দেখলেন তাঁরা কি চুপ করে থাকবেন? নীরবে এতবড় একটি অন্যায় মেনে নেবেন? এই অন্যায় যদি চলতে থাকে তবে নিজের সন্তানও যে নিরাপদ নয়– এমন ভয়ঙ্কর সম্ভাবনার কথা জেনেও চুপ করে থাকবেন? না, চুপ করে তাঁরা থাকবেন না। তাই তো তাঁরা দলে দলে শয়ে শয়ে হাজারে হাজারে রাস্তায় নেমে এসেছেন। রাত জেগেছেন। মিছিল করেছেন। রাস্তা অবরোধ করেছেন। ধর্মঘট করেছেন। আর এতেই ভীত শাসকরা। কিন্তু সংগঠিত শাসক শক্তি চাইলেই এমন আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে, দমন করতে পারবে না। সাধারণ মানুষের নজরে তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র ধরা পড়বেই এবং আরও প্রবল তেজে আন্দোলনে এগিয়ে আসবে তারা।
বিচারকের প্রশ্ন
- নির্যতিতার যৌনাঙ্গে ধর্ষকের বীর্য মেলেনি।
- স্তনবৃন্ত থেকে প্রাপ্ত নমুনায় অন্য এক মহিলার ডিএনএ-রও উপস্থিতি।
- ময়না তদন্তের নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ।
- লালবাজারের তদন্তকারী অফিসার রূপালি মুখোপাধ্যায় তদন্তে ব্যর্থ, কাজেও ত্রুটি।
- দেহ উদ্ধারের পর ঘটনাকে গুরুত্ব দেয়নি টালা থানা।
- থানায় জেনারেল ডায়েরিতে ‘বেআইনি’ ভাবে তথ্য নথিবদ্ধ করেছেন এসআই সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। একই কাজ করেছেন এসআই সৌরভকুমার ঝা-ও।
- কারওনির্দেশে এই কাজ করেছিলেন সুব্রত। কিন্তু কার নির্দেশ, তা কোর্টে জানাননি।
- সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সীমা পাহুজা তদন্তের নির্দিষ্ট অগ্রগতি করেননি। কলকাতা পুলিশের তথ্য বিশ্লেষণ করে ঘটনাক্রম সাজিয়ে পেশ করেছেন।
- নিজেদের দায় ঝাড়তে ঘটনাকে গোড়াতেই ‘আত্মহত্যা’ বলে প্রমাণের চেষ্টা করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
- ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা জেনেও হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ এবং সুপার পুলিশকে জানাননি।
- হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আচরণ দেখে মনে হয়, তাঁরা কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
- কলকাতা পুলিশ এবং সিবিআইয়ের তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি।
(সূত্রঃ বিচারক অনির্বাণ দাসের রায়ের প্রতিলিপি) (২২ জানুয়ারি, ’২৫-এর আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে)