Breaking News

শহিদ কনকলতা জন্মশতবর্ষ উদযাপন

১৯৪২ সালের ঐতিহাসিক ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের অন্যতম শহিদ বীরাঙ্গনা কনকলতা বরুয়ার জন্মশতবর্ষ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল আসামে। এই উপলক্ষে গত ২২ ডিসেম্বর আসামের কাছাড় জেলার শিলচর শহরে শহিদ ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশ থেকে একটি বাইক র্যালি বিশ্বনাথ জেলার গজপুরে কনকলতার মূর্তির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে সাড়ে চারশো কিলোমিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করে ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে গহপুর থানার সম্মুখে পৌঁছায়। সেখানে শহিদ কনকলতা ও শহিদ মুকন্দ কাকতির মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সেখান থেকে বাইক আরোহীরা কনকলতার জন্মস্থান বরঙ্গাবাড়ীতে পৌঁছে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করেন। কনকলতা স্মৃতিরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সেখানে আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। কনকলতার একমাত্র জীবিত কনিষ্ঠ ভ্রাতা কালীচরণ বরুয়াকে সমিতির পক্ষ থেকে স্মারক প্রদান করে সম্মান জানানো হয়। বাইক আরোহীদের যাত্রাপথে নগাঁও ও তেজপুর শহরে বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা জানানো হয়। বাইক আরোহীরা পুনরায় দুর্গম পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে ২৪ ডিসেম্বর শিলচরে ফিরে আসেন। কনকলতা বরুয়ার জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে সমিতির উদ্যোগে বর্ষব্যাপী কাছাড় জেলার বিভিন্ন স্কুলে কনকলতার জীবন সংগ্রাম নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাইক র্যালির পর ৩০ ডিসেম্বর শিলচরের গান্ধী ভবনে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।

ওই দিন ভোরে কমসোমলের ১৩০ জন সদস্য প্রভাত ফেরিতে অংশগ্রহণ করে তাঁর প্রতিকৃতির উদ্দেশ্যে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদর্শন করে শ্রদ্ধা জানায়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট জননেত্রী অধ্যাপক চন্দ্রলেখা দাস ও নেতাজি ফাউন্ডেশনের কর্ণধার নীহাররঞ্জন পাল। এ ছাড়াও কনকলতা বরুয়ার জীবন ও সংগ্রামের উপর ভিত্তি করে পরিবেশিত হয় ব্যালে।