বর্ধিত বিদ্যুৎ মাসুল ফিক্সড চার্জ ও মিনিমাম চার্জ প্রত্যাহার, জনগণের টাকা লুটের যন্ত্র স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বাতিল সহ গ্র্রাহকদের নানা সমস্যা সমাধানের দাবিতে ২১ নভেম্বর পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার জোনাল ম্যানেজারের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান সহস্রাধিক গ্রাহক। মেদিনীপুর স্টেশন থেকে মিছিল শহর পরিক্রমা করে জেলাশাসক দপ্তরের সামনে পৌঁছালে গ্রাহকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ক্ষুদিরাম মোড়ে হয় প্রতীকী পথ অবরোধ। স্মার্ট মিটার, ফিক্সড চার্জ ও মিনিমাম চার্জের প্রতিলিপিতে অগ্নিসংযোগ করেন অ্যাবেকার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস।
সেখান থেকে মিছিল ফকির কুয়াঁস্থিত জোনাল ম্যানেজারের দপ্তরে যায়। জোনাল ম্যানেজারের গেট বিশাল পুলিশবাহিনী অবরুদ্ধ করে রাখায় গ্রাহকরা প্রবল বিক্ষোভ দেখান। জোনাল ম্যানেজারের দপ্তরের সামনের রাস্তা এক ঘণ্টারও বেশি অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। চলে বিক্ষোভ সভা।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি মধুসূদন মান্নার নেতৃত্বে পূর্ব মেদিনীপুরের সভাপতি অধ্যাপক জয়মোহন পাল, সম্পাদক শংকর মালাকার, পুরুলিয়ার সম্পাদক গৌতম হাতি, বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক স্বপন নাগের এক প্রতিনিধি দল জোনাল ম্যানেজারের দপ্তরে ডেপুটেশন দেন।
বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সুব্রত বিশ্বাস। তিনি গ্রাহকদের আহ্বান জানান– স্মার্ট মিটার প্রতিরোধ করতে ট্রান্সফরমার ভিত্তিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলুন। বেআইনি অযৌক্তিক বিপুল মিনিমাম চার্জ অনাদায়ে লাইন কাটতে গেলে প্রতিরোধ করে ফেরত পাঠান। তিনি ঘোষণা করেন, অতিরিক্ত লোডের নামে সর্বস্তরের গ্রাহকদের টাকা লুটের আগে কোম্পানির ঘরে গ্রাহকদের জমা রাখা সিকিউরিটি ডিপোজিটের সুদ সহ ফেরত দেওয়ার বিদ্যুৎ আইন মোতাবেক টাকা অ্যাডজাস্ট না করে কোনও বাড়তি বিল পাঠানো যাবে না। তিনি আগামী মার্চ মাসে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পার্লামেন্ট অভিযানের কথাও ঘোষণা করেন। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন অশোক ঘোষ, শালবনি থানা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তারকনাথ মোদক, দীপক পাত্র প্রমুখ।
ওই দিন রেশনে গম সরবরাহের দাবিতে জেলা খাদ্য পরিদর্শকের কাছেও ডেপুটেশন দেওয়া হয়, যাতে ক্ষুদ্র শিল্পগুলি সচল থাকতে পারে এবং কর্পোরেটদের পেশাই করা নিম্নমানের আটা খাওয়ানোর ঘৃণ্য প্রক্রিয়া বন্ধ হয়।