প্রোগ্রেসিভ মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (পিএমপিএআই)-এর সপ্তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলন ৯-১০ নভেম্বর মুর্শিদাবাদের লালবাগ শহরে সুভাষচন্দ্র বোস সেন্টিনারি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় দু’হাজার প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও অতিথিদের উপস্থিতিতে সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের পর অভয়া, সমাজ ও বিজ্ঞান ক্ষেত্রের পথিকৃৎ এবং যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত স্বাস্থ্যকর্মী ও সহ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তারপর মহান বিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ সুপম মুখার্জী, পরিচালনা সমিতির সভাপতি ও বিধায়ক মহম্মদ আলি, উদ্বোধক ডাঃ বিশ্বনাথ পড়িয়া, প্রধান অতিথি ডাঃ অশোক সামন্ত, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ তরুণ মণ্ডল প্রমুখ।
স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রদর্শনীর পর মেডিক্যাল সায়েন্সের পথিকৃৎ মনীষীদের প্রতিকৃতিতে মাল্যার্পণ করা হয়। বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে উদ্বোধক, প্রধান অতিথি, প্রিন্সিপাল ও কলেজ সভাপতি।
সম্মেলনে ডায়াবেটিস, হার্ট-এর সমস্যা, বেসিক লাইফ সাপোর্ট, অর্থোপেডিক সমস্যা ও তার প্রতিকার সংক্রান্ত বিষয়ে সেমিনার ও ওয়ার্কশপে মনোগ্রাহী আলোচনা করেন বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ পার্থসারথী মণ্ডল, ডাঃ ইন্দ্রজিৎ ব্যানার্জী, ডাঃ অশোক মজুমদার ও ডাঃ অনন্ত গর্গ। আর জি কর মেডিকেল কলেজের ছাত্রী অভয়ার বিচারের টালবাহানা এবং যুদ্ধবাজ মার্কিন ইজরায়েল জোট কর্তৃক গাজায় নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে দুটি নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সাংগঠনিক রিপোর্টের পর মূল প্রস্তাবে নন রেজিস্টার্ড মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার্সদের বৈজ্ঞানিক সিলেবাসভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীর প্রশিক্ষণ ও শংসাপত্র দান, বিএমওএইচদের তত্ত্বাবধানে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে ব্যবহার, সকল আইএইচসিপিদের নাম নথিভুক্তিকরণ ও পুলিশ সহ ড্রাগ ইন্সপেক্টরদের দ্বারা হয়রানি ও জরিমানা বন্ধ করার দাবি তোলা হয়। অবিলম্বে এই স্বাস্থ্যকর্মীদের ওষুধ রাখা ও প্রেসক্রিপশন করার নির্দেশিকা প্রকাশ করারও দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের নেতৃত্ব ও পিএমপিএআই-এর উপদেষ্টা সহ সভাপতি ডাঃ কিসান প্রধান, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ভবানীশঙ্কর দাস, সম্পাদক ডাঃ অংশুমান মিত্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ডাঃ তরুণ মণ্ডলকে মুখ্য উপদেষ্টা, ডাঃ প্রাণতোষ মাইতিকে সভাপতি, ডাঃ রবিউল আলমকে সম্পাদক ও ডাঃ তিমিরকান্তি দাসকে কোষাধ্যক্ষ করে ৫১ জনের রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটি এবং ৭০ জনের রাজ্য কাউন্সিল গঠিত হয়।