70 Year 32 Issue 30 March 2018
ইরাকে ভারতীয় শ্রমিক হত্যার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ আই ইউ টি ইউ সি–র সাধারণ সম্পাদক কমরেড শংকর সাহা কেন্দ্রের বৈদেশিক দপ্তরের মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের উদ্দেশে প্রেরিত এক প্রতিবাদ পত্রে বলেন, ইরাকের মসুলে ৩৯ জন ভারতীয় নির্মাণ শ্রমিককে হত্যার ঘটনা ভারতের বৈদেশিক দপ্তরের অযোগ্যতাকেই আবার প্রমাণ করল৷ এই অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনাকে চার বছর চেপে রাখা হয়েছিল৷ বিভিন্ন দিক থেকে চাপের ফলে সরকার সম্প্রতি ঘটনার কথা স্বীকার করলেও প্রশ্ন ওঠে, এ ধরনের চাঞ্চল্যকর সংবাদ এতদিন গোপন করা হয়েছিল কেন?
গত বছরের জুলাই মাসে এ দেশের সংবাদমাধ্যমে এই অপহরণ ও হত্যার ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল৷ অল ইন্ডিয়া ইউ টি ইউ সি–র পক্ষ থেকে ২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই সংবাদের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল৷
ইরাকের পুনর্গঠনের কাজে যে সব কর্পোরেট গোষ্ঠী এ দেশ থেকে শ্রমিকদের সেখানে নিয়ে যায়, এই ঘটনায় তারাও তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না৷ এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং বিদেশি নিয়োগ কর্তাদের হাতে তাদের অমানুষিক নির্যাতনের বিষয়গুলিও তাদের খেয়াল রাখা উচিত৷ চাকরিতে নিয়োগ ও শর্তাবলি সংক্রান্ত আইন, ইন্টার–স্টেট মাইগ্রেশন অফ ওয়ার্কমেন (রেগুলেশন অফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড কন্ডিশন অফ সার্ভিস) অ্যাক্ট অনুযায়ী বিদেশে শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা করতে কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্য৷ ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সেই দায়িত্ব যে পালন করা হয় না, তা এই ঘটনায় আবার প্রমাণিত হল৷ তা না হলে অনেক আগেই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে হয়তো এই মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যেত৷
তিনি দাবি জানান, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় দূতাবাসগুলির কাজকর্ম অবিলম্বে খতিয়ে দেখে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সাথে সাথে এ দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও উপযুক্ত মজুরির ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷