কেন্দ্রীয় বাজেটকে শ্রমিকবিরোধী, জনবিরোধী ও একচেটিয়া পুঁজিমালিকদের স্বার্থবাহী হিসাবে নিন্দা করে এ আই ইউ টি ইউ সি-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড শঙ্কর দাশগুপ্ত ২৪ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেন, প্রাক বাজেট বৈঠকে এ আই ইউ টি ইউ সি সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন একযোগে যে বক্তব্য ও মতামত রেখেছিল বাজেটে তা পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের পুঁজিপতি শ্রেণির তোষণকারী চরিত্র এই বাজেটে আবার ফুটে উঠল। মুষ্টিমেয় অতি ধনী এবং দরিদ্র জনগণ বিশেষত খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যেকার বৈষম্য আরও বাড়বে। সমস্ত জিনিসপত্র বিশেষত খাদ্যের ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধির ফলে খেটে-খাওয়া মানুষের বিপদগ্রস্ত অবস্থার কোনও উল্লেখই এই বাজেটে নেই। একই ভাবে নেই যুব সমাজের ওপর তীব্র আঘাত নামিয়ে আনা বেকারত্ব, প্রকৃত মজুরির হারের ভয়াবহ ক্ষয় এবং অন্যান্য যে সমস্যাগুলিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে তার কথা। সব ধরনের শ্রমিকের জন্য সামাজিক সুরক্ষার গ্যারান্টি নিয়ে এই বাজেট নীরব। শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি মেনে নতুন পেনশন স্কিম বাতিল করে পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনার উল্লেখও বাজেটে নেই। স্কিম ওয়ার্কার সহ সমস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রের বিপুল সংখ্যক কর্মীদের স্বস্তি দিতে কিছুই বলা হয়নি। গ্রামীণ কর্মসংস্থান (এমএনরেগা), জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, মিড ডে মিল, আশা, আইসিডিএস-এর মতো স্কিমগুলিতে এক টাকাও বরাদ্দ বাড়েনি।
ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের দাবি মেনে গরিব কৃষকদের জন্য এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টিও দেওয়া হয়নি। একইভাবে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ জনজীবনের গুরুত্বপূর্ণ বহু বিষয়ও উপেক্ষিত হয়েছে। এক কথায় কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের এই বাজেটে শ্রমজীবী মানুষ ও জনসাধারণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এ আই ইউ টি ইউ সি দেশের খেটেখাওয়া মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক বিরোধী, জনবিরোধী, একচেটিয়া পুঁজিমালিকদের তোষণের নীতির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার আবেদন জানাচ্ছে।