আপসহীন বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদের ১১৮তম জন্মজয়ন্তী পালনের অভিযোগে ছাত্রদের বিরুদ্ধে এফআইআর করল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের পুলিশ। ২৩ জুলাই গুনার পিজি কলেজ চত্বরে এআইডিএসও-র উদ্যোগে চন্দ্রশেখর আজাদ স্মরণ অনুষ্ঠানে সামিল হন ছাত্রছাত্রীরা। অনেকে তাঁর জীবন সম্পর্কে নানা পোস্টার তৈরি করে আনেন এবং শহিদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য দেন। কলেজের ছাত্র
ও শিক্ষকদের কাছে বিপ্লবী আজাদের জীবন সম্পর্কিত বই নেওয়ার জন্য আবেদন জানান তাঁরা। অনুষ্ঠান চলাকালীন বিজেপির ছাত্রসংগঠন এবিভিপি নামধারী কিছু দুষ্কৃতী অনুষ্ঠানে বাধা দিতে শুরু করে। তারা চন্দ্রশেখর আজাদের নামাঙ্কিত পোস্টার ছিঁড়ে দেয়। ছাত্রদের হুমকি দেয়, বিপ্লবীদের স্মরণে এই ধরনের অনুষ্ঠান করলে একেবারে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। মধ্যপ্রদেশে শুধু বিজেপির পছন্দের অনুষ্ঠানই করতে হবে। তারা কলেজের প্রশাসনকেও চাপ দেয় চন্দ্রশেখর আজাদকে স্মরণ করার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। চাপে পড়ে কলেজ প্রশাসনও এই অনুষ্ঠান বন্ধের উদ্যোগ নেয়। পুলিশের কাছে ছাত্রদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে এবিভিপি। এআইডিএসও-র নেতৃত্বে বহু ছাত্র-ছাত্রী থানায় গিয়ে দাবি জানান ছাত্রদের খুনের হুমকি দেওয়ার জন্য এবিভিপি-র বিরুদ্ধে এফআইআর নিতে হবে। তিন ঘণ্টার বেশি ছাত্রদের বসিয়ে রেখে থানার অফিসাররা ছাত্রদের বলেন, ওপর মহলের চাপে এফআইআর নিতে পারছি না। পরদিন ছাত্ররা হনুমান চৌরাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ বিক্ষোভ বন্ধ করতে গেলে শহিদের ছবি তুলে ধরে ছাত্ররা তীব্র স্বরে স্লোগান তোলেন। ছাত্রদের দৃঢ়তার সামনে পুলিশ পিছু হটে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই বিক্ষোভ চলে। সারা শহরে লিফলেট বিলি করা হয়। পুলিশের দলদাস ভূমিকার নিন্দা করে ‘ভগৎ সিং ইয়াদগার মঞ্চ’-এর আহ্বায়ক রাকেশ মিশ্রের নেতৃত্বে বিশিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন নেতা, আইনজীবী, সমাজকর্মীদের এক প্রতিনিধিদল পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে এআইডিএসও-র কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা এফআইআর খারিজের দাবি জানান। গুনা শহরে এই আন্দোলন আলোড়ন ফেলেছে।