কলকাতার তারাতলায় পোর্ট ট্রাস্টের অধীনস্থ দীর্ঘ ৮০ বছরের পুরনো সুবিশাল জৈনকুঞ্জ খেলার মাঠকে সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী আরেকটি খেলার মাঠও কয়েক বছর আগে সরকার সেঞ্চুরি সংস্থার হাতে তুলে দেয়। এলাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজ সহ সমস্ত রকম খেলাধূলা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই এই দুটি মাঠ ব্যবহৃত হত। প্রথম মাঠটি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সময়ে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বর্তমানে জৈনকুঞ্জ মাঠটি একমাত্র খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহারের জন্য ছিল। এই মাঠটিও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে চারপাশে দেওয়াল তুলতে গেলে এলাকার মানুষ প্রবল বিক্ষোভ দেখান। ২৩ জুন এলাকার পাঁচ শতাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতীকী অবরোধ করেন। মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ২৪ জুন পোর্ট ট্রাস্ট চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ডাক দেওয়া হয়। পাঁচ শতাধিক এলাকাবাসীর এই অবস্থানে নেতৃত্ব দেন এসইউসিআই(কমিউনিস্ট) দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জুবের রব্বানি এবং কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অংশুমান রায় সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। অবস্থান চলাকালীন বিনা প্ররোচনায় পুলিশ জুবের রব্বানি ও অংশুমান রায় সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে যায়।
এসইউসিআই(কমিউনিস্ট)-এর কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক সুব্রত গৌড়ী ২৪ জুন এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে পুলিশ আক্রমণ চালিয়েছে ও গ্রেপ্তার করেছে, আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে আন্দোলনের সমস্ত নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। অবিলম্বে খেলার মাঠ এলাকার ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়ার দাবি করছি।