এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ১৫ জুন এক বিবৃতিতে বলেন, অতি প্রয়োজনীয় এবং বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য সহ সমস্ত জিনিসের দামের ভয়াবহ হারে বৃদ্ধি মানুষের জীবন ছারখার করে দিচ্ছে। একেবারে দরিদ্র প্রান্তিক মানুষ তো বটেই, এমনকি মধ্যবিত্তরাও দুক্সবেলা পেটভরা খাবারের জোগাড় করতে সমস্যায় পড়ছেন। সরকারি তথ্যই জানাচ্ছে, শুধু খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নয়, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচকও বেড়ে চলেছে।
খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ শেয়ার বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে আগাম বাণিজ্যের ফাটকায় সুবিধা পেতে কালোবাজারি মজুতদার ফাটকাবাজদের কারচুপি। এদের সাথে শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকা দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন ও পুলিশ, কায়েমি স্বার্থ নিয়ে বসে থাকা প্রভাবশালী মহল এবং অসৎ মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের যোগসাজশ দাম বাড়ানোয় সাহায্য করে। জ্বালানির অস্বাভাবিক বাড়তি মূল্যও পরিবহণ খরচ বাড়িয়ে দিয়ে মূল্যবৃদ্ধিতে ইন্ধন দিচ্ছে।
মূল্যবদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এবং সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকা দামে খাদ্য পণ্যের বন্টন নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন সার্বিক রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য বা স্টেট ট্রেডিং। এ জন্য কেবলমাত্র পাইকারি নয়, খাদ্য পণ্যের খুচরো ব্যবসাও ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণ থেকে পুরোপুরি মুক্ত করতে হবে। সরকারকেই লাভজনক দাম দিয়ে কৃষক ও উৎপাদকদের থেকে সরাসরি খাদ্য পণ্য কিনে নিতে হবে এবং ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে এমন দামে তা বিক্রি করতে হবে, যাতে তা সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যেই থাকে। ১৯৫০ থেকে আমাদের দল এই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের এই দাবি তুলে আসছে। জনসাধারণের কাছে আবেদন মেহনতি মানুষের ঐক্য গড়ে তুলুন এবং এই ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধি রুখতে সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য চালু করার দাবি আদায়ে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলুন।