আমি শিল্পী গণেশ হালুই এর কাছে গিয়েছিলাম তাঁর চিকিৎসক হিসাবে। কথা প্রসঙ্গে তিনি তাঁর শৈশবের, কৈশোরের দিনগুলির কথা বলছিলেন। বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে তাঁর ঠিকানা হয়েছিল হাওড়া রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম। সেখান থেকে উনি কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজে ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা শুরু করেন। তারপর কী ভাবে আজ দেশ-বিদেশে একজন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী হিসাবে পরিচিত হয়েছেন, তা শোনালেন। তিনি একটা কথা বললেন, দেখো আমারও একটা ডিটারমিনেশন ছিল জীবনে, আর ছিল অনেস্টি। তাই হয়তো আমি পেরেছি। আজ তোমরা যারা এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) দল করছ তোমরা হয়তো এখন ছোট, সবাই তোমাদের জানে না, কিন্তু একদিন তোমরাই পারবে ভারতবাসীকে পথ দেখাতে। তোমরা অনেক বড় হও। আর একটা কথা খুব গুরুত্ব দিয়ে বললেন, আগেও বলেছিলেন। বললেন–কথা এবং কাজে যেন কোনও ফারাক না থাকে দেখো। এটার বড় অভাব আজ।
ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র
ক্রিক রো, কলকাতা ১৪