একটা আক্ষেপ এখন দীর্ঘনিঃশ্বাসের সাথে মিলে শোনা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বহু বামপন্থী মনোভাবাপন্ন মানুষের মুখে। বামপন্থার পীঠস্থান বলে পরিচিত এই বাংলায় রামনবমী, হনুমান জয়ন্তীর নামে বিজেপি-আরএসএস এমন করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ বিদ্বেষের বিষ ফেনিয়ে তুলতে পারল কী করে? তবে কি বামপন্থী বলে পরিচিত যে দলগুলি বিপুল ভোটে জিতে ৩৪ বছর সরকার চালিয়ে গেল, তারা কি বামপন্থার আদর্শ, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে তাদের সমর্থক জনসমষ্টির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেনি? নাকি সে চেষ্টাটাই করেননি এই শাসক বামপন্থী দলগুলির নেতারা!
মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন জেরবার, প্রতিদিন বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা, কৃষক শ্রমিকের আত্মহত্যা যেন নিত্যদিনের ঘটনায় দাঁড়িয়েছে, নির্যাতিতা নারীর আর্তনাদে দেশ ছেয়ে গেল, শিক্ষাকে ধ্বংসের চেষ্টায় মরিয়া সরকার, গণতন্ত্রকে প্রতিদিন গলা টিপে মারছে শাসকরা, কেন্দ্র রাজ্য সব শাসকদলের বিরুদ্ধেই পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ, একচেটিয়া পুঁজির কাছে দেশের সব সম্পদ বেচে দিচ্ছে কেন্দ্রের শাসকদল, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পে ছেয়ে যাচ্ছে দেশ– এ সব কিছু দেখে মানুষ ভাবে, প্রতিবাদ কি হবে না? কিন্তু কোথায় প্রতিবাদ, প্রতিরোধ? বৃহৎ বামপন্থী বলে সংবাদমাধ্যমে যাঁদের নাম দেখা যায় তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়াতে যত ক্রিয়াশীল আন্দোলনের ময়দানে তার ভগ্নাংশও নয়।
এই প্রশ্নটাই বারবার শোনা যাচ্ছিল দিল্লি সীমান্তে চলা কৃষক আন্দোলনের সময়– দেশে বৃহৎ বামপন্থী বলে সংবাদমাধ্যমের আনুকুল্য পাওয়া দল এই আন্দোলনকে রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে সর্বাত্মকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ছে না কেন? কেন সেই দলের সাধারণ সম্পাদক কর্পোরেট মালিকদের সাথে কৃষকদের বৈঠকের প্রস্তাব দিচ্ছেন? তাঁরা কি বড় বড় কথার আড়ালে একচেটিয়া মালিকদের আড়াল করতেই সচেষ্ট? তাদের দলের লোকেরা এখন সব ছেড়ে কংগ্রেস এমনকি দরকারে বিজেপির সাহায্য নিয়েও পশ্চিমবঙ্গে এবং ত্রিপুরায় হারানো সরকারি গদি ফিরে পাওয়া ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছেন না? অথচ স্বাধীনতার পর ষাটের দশকে সত্তরের দশকে এই বাম সমর্থক বিপুল জনসমষ্টি তো শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক ভারতের কথা ভাবতেন। স্বাধীনতার পর গণমুক্তি আসেনি দেখে ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়’ বলে স্লোগান দিতেন। দেশের সমস্ত মানুষের জন্য গণমুক্তি অর্জনে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখায় বিভোর ছিলেন তাঁদের অনেকেই। তাঁদের বড় অংশই আজ শুধু ভোটের হিসাবের মধ্যে নিজেদের মন-প্রাণ-শক্তি ঢেলে দিলেন কী করে?
এই প্রশ্নটার উত্তর মিলে গেল মহান মাক্সর্বাদী চিন্তানায়ক কমরেড শিবদাস ঘোষের এক উক্তিতে– ‘‘শুধু বিপ্লব চাই– এটা কোনও বিপ্লবী চেতনা নয়। তাই শ্রমিকশ্রেণি, সর্বহারার কথা আমি চিন্তা করি এটাও কোনও সর্বহারা শ্রেণিচেতনা নয়। সঠিক বিপ্লবী চেতনা হল, সঠিক সর্বহারা শ্রেণিচেতনা, আর সঠিক সর্বহারা শ্রেণিচেতনা হল সঠিক পার্টিচেতনা– অর্থাৎ আপনারা সঠিক বিপ্লবী পার্টি চিনতে পেরেছেন কি না।” সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের রূপকার মহান নেতা লেনিন দেখিয়েছেন, সঠিক বিপ্লবী তত্ত্ব এবং সঠিক বিপ্লবী পার্টি ছাড়া কোনও বিপ্লব সম্পন্ন হতে পারে না। এই শিক্ষাকেই আরও সমৃদ্ধ করেছেন তাঁর সুযোগ্য ছাত্র কমরেড শিবদাস ঘোষ। অন্যদিকে নামজাদা সব বাম দলগুলির নেতারা কর্মীদের মধ্যে সঠিক শ্রেণিচেতনা গড়ে তোলার চেষ্টাই করেননি। যে কারণে, সঠিক বিপ্লবী পার্টি চিনতে না পারার ঘাটতিতেই দিশা হারালেন বাম সমর্থক এই বিপুল জনগোষ্ঠী।
ভারতে স্বাধীনতার আগে এবং তারপর থেকে দীর্ঘ সময় জুড়ে দেশের জন্য, অন্যায় প্রতিরোধের জন্য আত্মবলিদানের সংকল্প নিয়ে কম ছাত্র-যুবক তো এগিয়ে আসেননি। দরকারে নিজেকে কোরবানি দেওয়ার তেজ নিয়ে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন, লড়াই হয়েছে, কিন্তু তাঁদের সঠিক রাজনীতিটা চেনাবে কে? কে চেনাবে সঠিক বিপ্লবী তত্ত্ব, কে চেনাবে সঠিক বিপ্লবী পার্টিকে? এই প্রশ্নটাই ভাবিয়েছে মহান নেতা কমরেড শিবদাস ঘোষকে।
ভারতের স্বাধীনতার ঠিক আগে কমরেড শিবদাস ঘোষ তখন ব্রিটিশের জেলে বন্দি, সেখানেই তিনি শুরু করেন মার্ক্সবাদ লেনিনবাদের সঠিক উপলব্ধির ভিত্তিতে সঠিক পার্টি গড়ে তোলার সংগ্রাম। যা রূপ নেয় ১৯৪৮-এর ২৪ এপ্রিল। প্রতিষ্ঠা হয় এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) দল।
কমিউনিস্ট নামধারী সিপিআই দলটি তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বারা স্বীকৃত। পরবর্তীকালে সিপিআই ভেঙে যখন একে একে সিপিএম এবং নকশালপন্থী নানা দল তৈরি হয় সেগুলিরও কোনওটা সোভিয়েত রাশিয়ার, কোনওটি চিনের পার্টির স্বীকৃতি পায়। আজ এই দলগুলির অ-বাম চরিত্র অনেকটা সহজেই ধরা পড়ে যাচ্ছে। তাদের নেতাদের গরম গরম স্লোগান যে ভোটসর্বস্ব, তারা যে, সংসদীয় রাজনীতিতে সাফল্য লাভ করার জন্য অক্লেশেই আদর্শ বিসর্জন দিতে পারে এটা আজ আর কোনও অজানা তথ্য নয়। কিন্তু সে দিন তা বোঝা সহজ ছিল না। এই দলগুলির নেতাদের অনেকেরই ত্যাগ, পাণ্ডিত্য, বাগ্মীতা দেখে মানুষ এদেরই যথার্থ বামপন্থী এবং কমিউনিস্ট মনে করত। ফলে তারা যে আদৌ কমিউনিস্ট পার্টি নয় সেদিন তা প্রতিষ্ঠা করা ছিল একটা কঠিন কাজ। আর একটা কঠিন কাজ ছিল মাক্সর্বাদ-লেনিনবাদের শিক্ষাকে ভারতের মাটিতে বিশেষীকৃত করা। তার ভিত্তিতে এ দেশের কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের কর্মপ্রক্রিয়া নির্ধারণ করা। অন্য কোনও দেশের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডকে হুবহু কপি করে, বই মুখস্থ করে মাক্সর্বাদকে আয়ত্ত এবং তার প্রয়োগ করা যায় না। তার জন্য নিজ দেশের পরিস্থিতিতে মার্ক্সবাদের বিশেষ প্রয়োগ কী হবে তা নির্ধারণ করতে দ্বান্দ্বিক চিন্তাপ্রক্রিয়া আয়ত্ত করতে হয়। তার জন্য ব্যক্তিসম্পত্তি বোধজনিত সকল মানসিকতা থেকে মুক্ত হওয়ার কঠোর কঠিন সর্বাত্মক সংগ্রাম আবশ্যিক। এই চিন্তাকে ভারতের মাটিতে প্রতিষ্ঠা করা ছিল সেদিন অত্যন্ত জরুরি। এই কঠিন কাজটিই এস ইউ সি আই (সি)-কে গড়ে তোলার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে করে গেছেন কমরেড শিবদাস ঘোষ।
আজ ভারতবর্ষের বুকে সচেতন বামপন্থী এবং শোষণ মুক্তির আকাঙক্ষায় মার্ক্সবাদ লেনিনবাদের সত্যিকারের পথ যারা খুঁজছেন, তাদের কাছে এস ইউ সি আই (সি)-র আদর্শগত শ্রেষ্ঠত্ব প্রশ্নাতীতরূপে প্রতিষ্ঠিত। বামপন্থার নামে ভোটসর্বস্বতা নয়, আন্দোলন গড়ে তুলতে গেলে যে এস ইউ সি আই (সি) অনুসৃত সংগ্রামী বামপন্থাই রাস্তা, তাও ধীরে ধীরে শোষিত জনগণ ধরতে পারছেন। আজ সামনে এসে দাঁড়িয়েছে এই দলকে সাংগঠনিক ভিত্তিকে দৃঢ় মজবুত করে সারা ভারতে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা। আজ জনসাধারণের অধিকার রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ সবকটি আন্দোলনের সাথেই কোনও না কোনও ভাবে জড়িয়ে আছে এস ইউ সি আই (সি) অথবা তার আদর্শে গড়ে ওঠা কোনও না কোনও গণসংগঠন। গণআন্দোলনের মধ্যে ঠিক-ভুলের দ্বন্দ্ব, সঠিক-বেঠিক রাজনীতির প্রশ্নে অন্য দলের সাথে এস ইউ সি আই (সি)-র অবস্থানের পার্থক্য অনেকটা পরিষ্কার ভাবে আন্দোলনের মধ্যে থাকা জনগণের সামনে আসছে। দলগঠনের পর সেই ১৯৫০-এর দশক থেকেই গড়ে ওঠা সমস্ত আন্দোলনে ভূমিকা নিয়েছে এস ইউ সি আই (সি) দল। ট্রামভাড়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ আন্দোলন, খাদ্য আন্দোলন, শিক্ষক আন্দোলন, বঙ্গবিহার সংযুক্তি বিরোধী আন্দোলন, সকলের জন্য শিক্ষার দাবিতে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে এই দল। ‘৬৭-৬৯-এর যুক্তফ্রন্ট সরকার পরিচালনায় বিপ্লবী দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে তা তুলে ধরেছিলেন কমরেড শিবদাস ঘোষ। পরবর্তীকালে ১৯৭৯ থেকে একটানা পশ্চিমবঙ্গে ১৯ বছর ধরে চলা শিক্ষা আন্দোলন, বারবার ফেটে পড়া মূল্যবৃদ্ধি-বাসভাড়া বৃদ্ধি বিরোধী আন্দোলনে দল এবং তার প্রভাবিত গণসংগঠনগুলি মানুষের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রেই সঠিক রাজনৈতিক লাইনের প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এস ইউ সি আই (সি) কখনও অবহেলা করেনি।
সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনের বিপুল সাফল্যের মধ্যেও এই দল ধরানোর চেষ্টা করে গেছে, সঠিক রাজনীতিটা না বুঝলে কৃষকরা বারবার প্রতারিত হবেন, ভোটবাজ দলগুলির দাবার ঘুঁটি হিসাবে অজান্তেই নিজেদের ব্যবহৃত হতে দেবেন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, সরকারি কর্মচারী-শিক্ষক-চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগ্রামী যৌথমঞ্চের যে আন্দোলন চলছে, তাকে যখন ভোটবাজ নেতারা আত্মসাৎ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তখনও এই আন্দোলনের গণচরিত্রকে বজায় রাখার প্রয়োজনকে সামনে রেখেই সঠিক রাজনীতিটা ধরানোর চেষ্টা দল করে চলেছে। কমরেড শিবদাস ঘোষ বলেছিলেন, ‘জ্ঞাতসারেই হোক আর অজ্ঞাতসারেই হোক রাজনৈতিক নেতাদের ব্যবহার ও আচরণের পিছনে ভোটাভুটির স্বার্থটাই সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে।…লড়াইটা মূলত বিক্ষোভমূলক আন্দোলনে থেকে যাওয়ার ফলে শেষ পর্যন্ত এইসব আন্দোলনগুলি ভোটের বাজার গরম করার আন্দোলনের স্তরেই থেকে যাচ্ছে। … এ মানুষের মুক্তির উদ্দেশ্যে লড়াই নয়।…অথচ আমাদের এমন লড়াই চাই, যে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে মানুষকে শিক্ষিত করা, ক্রমে ক্রমে মানুষগুলোকে সংঘবদ্ধ করতে করতে গণমুক্তির প্রশ্নটার শেষ মোকাবিলা করা যায়।’ (গণআন্দোলনে বিপ্লবী নেতৃত্ব কেন চাই, নির্বাচিত রচনাবলী, চতুর্থ খণ্ড)
এস ইউ সি আই (সি) দল আন্দোলন করতে করতেই তুলে ধরেছে মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ-শিবদাস ঘোষের শিক্ষাকে। যে শিক্ষা বলে– এই সমাজে যে সমস্ত সমস্যায় মানুষের জীবন জেরবার, শুধু ভোট দিয়ে সরকার পাল্টে তা থেকে মুক্তি মিলবে না। এ সবের থেকে পুরোপুরি মুক্তি মিলতে পারে একমাত্র এই সমাজটাকে বদল করে শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই। তার আগে শাসকদের কাছ থেকে মানুষের জন্য কিছুটা অর্থেও স্বস্তি আদায় করতে হলে গড়ে তুলতে হবে একের পর এক গণআন্দোলন। এমনকি নির্বাচনকেও যে দেখতে হয় গণআন্দোলনের দৃষ্টিতে, কোনও সরকারের প্রতি মোহ তৈরির জন্য নয়, সে সত্য তুলে ধরছে এস ইউ সি আই (সি)। গণআন্দোলন ছাড়া কোনও নামকরা নেতা, সরকার কিংবা সংবাদমাধ্যমের বদান্যতায় যে সুরাহা মিলতে পারে না, তা বারে বারে তুলে ধরেছে এই দল। আজ পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, কেরালা, ওড়িশা, আসাম, মধ্যপ্রদেশ সহ বহু রাজ্যেই গণআন্দোলনের কথা উঠলেই মানুষ ভাবে এস ইউ সি আই (সি)-র নাম। ২৪টি রাজ্যে দল ইতিমধ্যেই কাজ করছে, আরও ৭টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গণসংগঠনের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যেই কোনও না কোনও আন্দোলন গড়ে তুলছে দল।
এই বছর ২৪ এপ্রিল ভারতের মাটিতে একমাত্র সাম্যবাদী দল এস ইউ সি আই (সি)-র প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী। এ দেশের খেটেখাওয়া গরিব, মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন-জীবিকার নানা সমস্যা সমাধানে আন্দোলন গড়ে তুলে দাবি আদায় করতে এবং শোষিত মানুষের মধ্যে শোষণমুক্তির আকাঙক্ষাকে সঠিক রূপ দিতে এই দলটির বিস্তার এবং সমৃদ্ধি আজ অত্যন্ত জরুরি। এটা যে কত জরুরি তা বারবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে গণআন্দোলনের ময়দানে অন্য দলগুলির ভোটসর্বস্ব আপসকামী ভূমিকায়। এই একটি দল সংগ্রাম করে চলেছে একদিকে গণআন্দোলনের মধ্যে সর্বহারা শ্রেণির নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য, অন্যদিকে সঠিক বিপ্লবী রাজনীতি-সঠিক জীবনদর্শন মানুষকে চেনাবার জন্য। লড়ে চলেছে গণআন্দোলনে এবং সমাজজীবনে উন্নত রুচিসংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ২৪ এপ্রিল এক ঐতিহাসিক দিন, কারণ এ দেশের খেটে-খাওয়া মানুষের শোষণমুক্তির দিশা দেখানোর দলটির প্রতিষ্ঠা এই দিনেই। আগামী দিনের গণআন্দোলন, বিপ্লবী আন্দোলনের সঠিক দিশা চেনার দিন ২৪ এপ্রিল। এই ঐতিহাসিক দিনে নিতে হবে নতুন সমাজ গড়ার শপথ।