Breaking News

নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার মহিলারা

কলকাতা

মহিলাদের উপর ক্রমবর্ধমান নির্যাতন, হিংসা, শ্লীলতাহানি, নারী–শিশু পাচার এবং মদের ঢালাও লাইসেন্স দেওয়ার প্রতিবাদে ৭ ফেব্রুয়ারি অল ইন্ডিয়া মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্বে কলকাতা, শিলিগুড়ি ও কোচবিহারের রাজ্য প্রশাসনিক ভবনগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মহিলা৷

শিলিগুড়ি

সারা দেশের মতো এরাজ্যেও মহিলারা মারাত্মক ভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ছেন৷ দুধের শিশু থেকে শুরু করে অশীতিপর বৃদ্ধা– কারও রেহাই থাকছে না বিকৃতরুচির পুরুষের থাবা থেকে৷ ধর্ষণ, গণধর্ষণ তারপর নৃশংস ভাবে খুনের ঘৃণ্য ঘটনা যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে গোটা দেশ সহ এই বাংলায়ও৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে কার্যত নীরব৷

অপরাধতুল্য এই নীরবতার পাশাপাশি পরিস্থিতিকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলছে সরকারের আবগারি দপ্তর৷ সরকারি কোষাগারে আরও বেশি পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের জন্য, বিগত সিপিএম সরকারের মতোই, তারাও মদের ঢালাও লাইসেন্স দিয়ে যাচ্ছে৷ মিছিলে আগত মহিলাদের প্রশ্ন, যদি চোর–ডাকাতেরাও ট্যাক্স দিতে চায়, সরকার কি তাদেরও চুরি–ডাকাতির জন্য লাইসেন্স দেবে? এটা কি কোনও সভ্য সরকারের নীতি হতে পারে?

সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা কমরেড সুজাতা ব্যানার্জী বলেন, বাজারসর্বস্ব সমাজ যে কোনও উপায়ে মুনাফা লোটার জন্য মানুষকে অমানুষে পর্যবসিত করছে৷ তাকে নীতি–নৈতিকতাহীন ভোগসর্বস্ব পশু বানাচ্ছে৷ মনুষ্যত্বহীন, বিবেক–মূল্যবোধহীন মানবদেহধারী পশুর কাছে এমনকী নিজের মা–বোনও আজ নিরাপদ নয়৷

কোচবিহার

তিনি বলেন, মহিলারা যদি বিকৃত লালসার শিকারে পরিণত হতে থাকে তা হলে মানুষ হিসাবে তার প্রতিবাদ না করে আমাদের উপায় নেই৷ তাঁর বক্তব্য, আমরা মহিলারা মাথা উঁচু করে মর্যাদার সাথে বাঁচতে চাই৷ সে জন্যই বার বার আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে, লড়তে হচ্ছে৷ যতদিন না সরকারের টনক নড়ে, এ লড়াই আরও তীব্র গতিতে চলবে৷ বক্তব্য রাখেন সারা বাংলা পরিচারিকা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কমরেড পার্বতী পাল৷ সভা পরিচালনা করেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড অনিতা মাইতি৷