৪ ফেব্রুয়ারি বহরমপুরের রোকেয়া ভবনে অনুষ্ঠিত রোকেয়া নারী উন্নয়ন সমিতির সম্মেলনে মুর্শিদাবাদ জেলার ১৮টি ব্লকের নির্যাতিতা নারীদের নেতৃত্বকারী ১২৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন৷ সমিতি মনে করে কেন্দ্রীয় সরকারের তিন তালাক বন্ধের ঘোষণা একটি চমক ছাড়া কিছু নয়৷ তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা, বিভিন্নভাবে নির্যাতিত অসহায় নারীদের উন্নয়নে ও তালাক বন্ধ, বহুবিবাহ বন্ধ, উচ্ছেদ হওয়া নারীদের স্বনির্ভরতা ইত্যাদি প্রশ্নে সম্মেলনে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়৷ সমিতির সম্পাদিকা খাদিজা বানু বলেন, সমিতির উদ্যোগে দীর্ঘ বছর ধরে সরকারি প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করার দাবিতে আন্দোলন ছাড়াও সমিতির নিজস্ব উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করা, বিনা ব্যয়ে আইনি পরিষেবা ইত্যাদি দেওয়া হয়ে আসছে৷
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক আশিস সেন, প্রধান শিক্ষিকা শুক্লা মণ্ডল, প্রাক্তন শিক্ষক গোলাম মোতুর্জা, অধ্যাপিকা স্মৃতিরেখা রায়চৌধুরী সহ নির্যাতিতা নারীদের কয়েকজন৷ সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন শিক্ষক সোমনাথ চক্রবর্তী৷ ডাঃ এ হাসান সহ স্কুল–কলেজের বিদগ্ধজন ও নির্যাতিতা নেতৃত্বকারী নারীদের নিয়ে ৬৫ জনের একটি কমিটি গঠিত হয়৷ সম্পাদিকা খাদিজা বানু, সভাপতি সুজাতা দে বসু৷
পরে রোকেয়া স্মরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন অধ্যাপিকা আফরোজা খাতুন, প্রাক্তন অধ্যক্ষ চুনীলাল গুপ্ত, অধ্যাপক খায়রুল আলম, অধ্যাপক মিজালুল হক, অধ্যাপক খয়রার আলি, ডাঃ ফোজির রহমান৷ সঙ্গীত পরিবেশন করেন সমার্তাবান খাতুন৷ রোকেয়া স্মরণে গীতি আলেখ্য পরিচালনা করেন অহনা চৌধুরী৷
বিডিও ডেপুটেশন : তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্ত ও নির্যাতিত মহিলাদের ঘরের অনুদান সহ সরকারি প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করার ও স্বনির্ভরতার দাবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ২নং ব্লকের সালারে প্রায় দেড় হাজার মহিলা মিছিল করে এসে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন৷ ওই দিন ভরতপুর ১নং এবং বেলডাঙা ২নং ব্লকে বিডিও–র কাছেও ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷