Breaking News

প্রশাসনের অপদার্থতাতেই ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত

দক্ষিণ দমদম পৌরসভাতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়

এস ইউ সি আই (সি)-র কলকাতা জেলা সম্পাদক সুব্রত গৌড়ী ১১ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন, গতকাল আরও একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। শুধু দক্ষিণ কলকাতাতেই এ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হল। সারা রাজ্যের সঙ্গে কলকাতাতেও যেভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে তাতে সকলেই অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ গত বছরের তুলনায় সাতগুণ বৃদ্ধি পেলেও প্রশাসন ও পুরসভার যে তৎপরতা প্রয়োজন ছিল তা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন ডেঙ্গু নিয়ে এখনই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। তাঁর এই মন্তব্য যে বর্তমান পুরসভার চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতারই প্রতিফলন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে আমরা ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে পুরসভাকে উপযুক্ত ভূমিকা নিতে বাধ্য করাতে সর্বত্র সংগঠিত ভাবে সোচ্চার হওয়ার জন্য জনগণের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। সাথে কলকাতা জেলা কমিটির উদ্যোগে নিম্নলিখিত দাবিগুলি নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরসভায় বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের কর্মসূচি নিয়েছি।

দাবিঃ ১) কলকাতা শহর জুড়ে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে প্রশাসনের সক্রিয়তা বহুগুণ বাড়াতে হবে। ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। ২) কলকাতার সর্বত্র লার্ভা নিরোধক স্প্রে, এলাকাভিত্তিক স্প্রে, বাড়ি বাড়ি স্প্রে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যেখানে মানুষের মশারি টাঙাবার জায়গা পর্যন্ত থাকে না সেখানে বাড়ি বাড়ি স্প্রে করতে হবে এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে নিয়মিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদারকি করতে হবে। ৩) পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু আক্রান্ত সকলের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে হবে। একজন রোগীও যাতে চিকিৎসা বঞ্চিত না হয়, তার জন্য হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এপিডেমিক এলাকাতে হেলথ ক্যাম্প করতে হবে। সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের, বিশেষত প্লেটলেটের জোগান যাতে ঠিক থাকে তার জন্য কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে রক্তদান শিবির সংগঠিত করতে হবে। ৪) জনসচেতনতা বাড়াবার জন্য নানারকম প্রচারমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

বরোগুলিতে ডেপুটেশন

এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর কলকাতা জেলার আঞ্চলিক কমিটিগুলির উদ্যোগে কলকাতার সমস্ত বরোতে ডেপুটেশন দিয়ে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। কলকাতার সর্বত্র লার্ভা নিরোধক স্প্রে, এলাকাভিত্তিক স্প্রে, বাড়ি বাড়ি স্প্রে এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে নিয়মিত বাড়ি গিয়ে তদারকির দাবি জানানো হয়। ৫ নং বরোতে দলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা দ্রুত এলাকায় উপস্থিত হয়ে জমা জল পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেন। ৬নং বরোতে ডেপুটেশনের পর পুরসভা দ্রুত জঞ্জাল পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেয়। ৩নং বরোতেও অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত পরিদর্শন করা হয় এবং জঞ্জাল পরিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। দক্ষিণ দমদম পৌরসভাতে ডেপুটেশন দেওয়া হয় ।