Breaking News

জঙ্গল-জীবিকা ধ্বংসকারী আইন অবিলম্বে বাতিলের দাবি

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসকে স্মরণ করে ২৮ আগস্ট ‘ফেডারেশন অফ আদিবাসী অর্গানাইজেশনস’-এর উদ্যোগে কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশন (মেন)-এর ‘বরুণ বিশ্বাস স্মৃতি হল’-এ এক সভার আয়োজন করা হয়। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপিকা মীরাতুন নাহার এবং সাহিত্যিক দুর্গাদাস সরেন। সভাপতিত্ব করেন নেপাল সিং। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক পরিমল হাঁসদা, বিসম্বর মুড়া, কোষাধ্যক্ষ বিভীষণ সরেন, সঙ্গীতশিল্পী শিখা মান্ডি, অধ্যাপিকা কবিতা হাঁসদা, মিত্র ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক হরিদাস মুন্ডা প্রমুখ। সভায় ২০২২ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ৩০ জন আদিবাসী গরিব মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রক গত ২৮ জুন ‘বন সংরক্ষণ রুল ২০২২’-এর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামসভার অনুমতি ছাড়াই জঙ্গলের জমি অন্য কাজে ব্যবহারের জন্য বেসরকারি বৃহৎ শিল্পপতি সংস্থার হাতে তুলে দিতে পারবে। স্বাভাবিকভাবেই সভায় দাবি ওঠে– ‘মানুষ উচ্ছেদকারী জঙ্গল ও জীবিকা ধ্বংসকারী ‘বন সংরক্ষণ রুল’ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। আদিবাসীদের উপর বিভিন্ন রকমের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গে সাঁওতালি মাধ্যম বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষক নিয়োগ, পুস্তক প্রণয়নের দাবি সহ কুরুখ মাধ্যম বিদ্যালয়, মুন্ডারি মাধ্যম বিদ্যালয়, সাদরি মাধ্যম বিদ্যালয় খোলার দাবি করা হয়। সভায় স্লোগান ওঠে– ‘জঙ্গল অধিকার আইন ২০০৬’ সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করতে হবে। আদিবাসী ও গ্রামসভার সম্মতি ছাড়া অরণ্যের জমি হস্তান্তর করা চলবে না। বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের অজুহাতে আদিবাসীদের উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে।