বিরাট গন্ধমাদন নিয়ে চলেছেন হনুমান। আবার কখনও বা এক লাফে লঙ্কা। এই অপরিসীম শক্তির উৎসের সন্ধান পেয়েছেন বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের শিক্ষাবিভাগের কর্তাব্যক্তিরা। নাড়ু ও গুড়ের মতো সাত্ত্বিক আহারই নাকি হনুমান এবং ভীমের ক্ষমতার সত্যিকার উৎস! অতএব আর কী! কর্ণাটকের মিড-ডে মিলে ডিম এবং কলার বদলে নাড়ু গুড়ের আগমন। ব্যাখ্যা হল, নিরামিষাশীরা যেহেতু ডিম খান না তাই ডিম, কলা দিলেই বৈষম্য। ভারত রাষ্ট্র কিংবা কর্ণাটক রাজ্য তো আর কোনও দিন বৈষম্য দেখেনি! পিথাগোরাস, নিউটন, ডারউইন আগেই বাতিলের খাতায়। এবার ডিম কলা বন্ধ করে কর্ণাটককে কিষ্কিন্ধা বানানোর ষোল কলা পূর্ণ! অতএব আর কী? এবার সবাই সাত্ত্বিক আহার করে হনুমানের মতো লাফ দিয়েই যাতায়াত করবে। তাতে পেট্রল, ডিজেল, পরিবহণ খরচের বৃদ্ধিতে পাবলিকের ক্যাচরম্যাচরও বন্ধ থাকবে। অলিম্পিকেও আসবে অনেক পদক। এক ঢিলে অনেক পাখি!
অনুপম ভট্টাচার্য, সল্টলেক