২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাট ব্লকে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও উপপ্রধানের হত্যার পরেই বগটুই গ্রামে যে নৃশংস গণহত্যা হয়েছে তাতে মানুষ শিউরে উঠেছে। ২২ মার্চ কলকাতা ও শিলিগুড়িতে এস ইউ সি আই (সি)-র বিক্ষোভ মিছিলের শুরুতেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়। ২৩ মার্চ দলের কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভার গেটে বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। বগটুইেয়ের ঘটনা এবং গণআন্দোলনের কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দলের পক্ষ থেকে ২৪ মার্চ সারা বাংলা প্রতিবাদ দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়। সমস্ত জেলাতেই প্রতিবাদ দিবসে বিক্ষোভ মিছিল, সভা হয়। রাজ্যের সর্বত্র থানার ওসিদের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে দাবিপত্র পাঠিয়ে বগটুই গণহত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত, রাজ্যে ঘটে চলা একের পর এক রাজনৈতিক হত্যা বন্ধ, পুলিশের দলদাস সুলভ আচরণের পরিবর্তে নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ, দল বিচার না করে সমস্ত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, সমস্ত নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
বীরভূমের সিউড়িতে জেলাশাসক দপ্তরের সামনে ৩১ মার্চ দলের পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ হয় (ছবি)। জেলা সম্পাদক মদন ঘটকের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। মালদহ শহরে দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও পথসভা হয়। হরিশচন্দ্রপুর শহিদ মোড়ে বিক্ষোভ দেখানোর পর মিছিল করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়। দলের জেলা সম্পাদক কমরেড গৌতম সরকার সহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে রবীন্দ্র মূর্তির পাশ থেকে মিছিল শুরু হয়ে বাজার এলাকা পরিক্রমা করে। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয় ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়।