‘‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সুশীল সমাজ তাদের সচেতন কর্তব্য পালন করে যাবেই, সরকারি ফতোয়া বা দেশবিরোধী বানানোর চক্রান্ত পরাভূত হবে। কৃষক সমাজ, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ ও সুশীল সমাজের যে সমস্ত প্রতিনিধি দিল্লির এই কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমরা তাঁদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই” – ১৯ নভেম্বর এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী-বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সভাপতি বিভাস চক্রবর্তী এবং সম্পাদক দিলীপ চক্রবর্তী। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন মীরাতুন নাহার, বিমল চ্যাটার্জী, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, পার্থসারথী সেনগুপ্ত, সুজাত ভদ্র, তরুণ নস্কর, কৌশিক সেন, ধ্রুবজ্যোতি মুখার্জী, তরুণ মণ্ডল, কবির সুমন, রূপশ্রী কাহালি, পল্লব কীর্তনীয়া, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, নিরঞ্জন প্রধান, পবিত্র গুপ্ত, সান্টু গুপ্ত, অজয় চ্যাটার্জী, অসীম গিরি, আফরোজা খাতুন, অমিতাভ দত্ত, সৌমিত্র ব্যানার্জী, অশোক সামন্ত প্রমুখ। তাঁরা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আর এক ঐতিহাসিক যুগান্তকারী আন্দোলনকে (২০০৬-২০০৮) স্মরণ করে বলেছেন – ‘‘ওই আন্দোলনেও বহু অত্যাচার, জুলুম, কৃষকদের সহ্য করতে হয়েছিল, অনেকে শাসকের অত্যাচারে শহিদের মৃত্যুবরণ করেছিলেন, বুদ্ধিজীবী সমাজকেও শাসকদের রোষে পড়তে হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংগ্রামী কৃষকরাই জয়ী হয়েছিলেন। কেন্দ্রের মোদি সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেও, বিদ্যুৎ আইন এখনও প্রত্যাহার করেনি, আন্দোলনে মৃত শহিদদের জীবনও তারা ফিরিয়ে দিতে পারবে না।”