Breaking News

জনবিরোধী বিদ্যুৎ বিল প্রতিরোধে সর্বভারতীয় মঞ্চ গড়ার প্রস্তুতি

 

ফাইল চিত্র। ভোপাল

১০-১৫ নভেম্বর সারা ভারত প্রতিবাদ-পক্ষ

অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রগুলির মতো বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকেও একচেটিয়া পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এ জন্য বিদ্যুৎ আইনে একের পর এক সংশোধনী নিয়ে আসছে তারা। সর্বশেষ যে সংশোধনীটি আনা হয়েছে সেটি হল বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী বিল-২০২১। চূড়ান্ত জনবিরোধী এই বিল বাতিলের দাবিতে ১০-২৫ নভেম্বর সারা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ-পক্ষ পালনের ডাক দিয়েছেন ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইসিএ)। কেন্দ্রের কৃষি আইনের পাশাপাশি এই বিদ্যুৎ বিল বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ এক বছর ধরে দিল্লিতে ধরনা চালিয়ে যাচ্ছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা (এসকেএম)। এবার রাজ্যে রাজ্যে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠিত করে এই আন্দোলন শক্তিশালী করতে দেশ জুড়ে পথে নামছে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)। সে জন্য এ রাজ্যের অ্যাবেকার মতো সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও মঞ্চ গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে দল। দেখা যাক, এই বিলটি কেন জনবিরোধী।

স্বাধীন ভারতে ১৯৪৮ সালে প্রথম বিদ্যুৎ আইন তৈরি হয়েছিল। এতে বিদ্যুৎকে একটা পরিষেবা হিসাবে দেখা হত এবং উৎপাদন ব্যয়ের উপর মাত্র ৩ শতাংশ মার্জিন বা মুনাফা রেখে বিদ্যুৎ দেওয়া হত। এই অতিরিক্ত ৩ শতাংশ নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি ও পরিষেবা এলাকা বাড়ানোর জন্য নেওয়া হবে, এটাই ছিল দৃষ্টিভঙ্গি। সেদিন বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের জন্য কোনও বেসরকারি পুঁজি আসেনি। কোনও ব্যক্তিপুঁজির এত বিপুল মূলধন ছিল না যা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি ও পরিবহণের পরিকাঠামো করা যায়। তাছাড়া এখানে মুনাফা আসবে অনেক দেরিতে বলে বেসরকারি পুঁজি বিদ্যুৎ শিল্পে টাকা বিনিয়োগে রাজি ছিল না। এই অবস্থায় জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকার এই বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি গড়েছে। সেই কারণে বিদ্যুতের মাশুল ছিল সামান্য।

এখন সরকার এই বিদ্যুৎক্ষেত্র পুরোপুরি বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে। বিদ্যুৎকে পরিষেবা হিসাবে দেখার পরিবর্তে পণ্য হিসাবে দেখার জন্য আনা হয়েছিল বিদ্যুৎ আইন-২০০৩। এবার তাকে আরও মারাত্মক জনবিরোধী রূপ দিয়ে আনা হয়েছে বিদ্যুৎ বিল ২০২১। বলা বাহুল্য এর ফলে বিদ্যুতের মাশুল দ্রুত বাড়বে।

এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় কেমন হয়– ২০১৭-‘১৮-এর বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ট্যারিফ অর্ডারে আছে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করেছে (টাকায়) কোলাঘাট-২.৪৬, বক্রেশ্বর-২.১৭, ব্যান্ডেল – ২.৭০, সাঁওতালডি-২.১৭, সাগরদিঘি-২.১৭।

এর মধ্যে উৎপাদন ব্যয়ের সাথে ১৫.৫ শতাংশ রিজিওনাল প্রফিট যুক্ত করা আছে। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় গড়ে ২ টাকার কম। এর পর নতুন ট্যারিফ অর্ডার হচ্ছে এ বছর, যা এখনও জানা যায়নি। অথচ বেসরকারি টাটা পাওয়ার, বা আদানি গোষ্ঠী কিংবা অন্যরা প্রতি ইউনিটে উৎপাদন ব্যয় দেখাচ্ছে প্রায় আট টাকা। তারা বিদ্যুতের দাম বাড়াতে আরেকটা কৌশল নিয়েছে। তা হল, দেশীয় কয়লা ব্যবহার না করা। তারা দেশের কয়লা নিচ্ছে না, বিদেশ থেকে যে কয়লা আমদানি করছে সেখানে বহুগুণ বেশি দাম দেখিয়ে দিচ্ছে। কারণ এ ক্ষেত্রে তারা ক্যাগ (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল)-এর অন্তর্ভুক্ত নয়।

বিদ্যুৎ থাকবে না যৌথ তালিকায়

এতদিন বিদ্যুৎ ছিল কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয়। নতুন বিদ্যুৎ বিলে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে রাজ্যের সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে একচেটিয়া কেন্দ্রীয়করণ করা হচ্ছে। অন্য দিকে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে বেসরকারি কর্পোরেট মালিকদের হাতে তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। রাজ্যের হাতে কী কী অধিকার আছে? নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ, বিদ্যুৎ বিল, খারাপ মিটার পরিবর্তন ইত্যাদি পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ, সর্বোপরি বিদ্যুতের মাশুল নির্ধারণ, সরকারি ভর্তুকি এ সবের নিষ্পত্তির কিছুটা অধিকার রাজ্যের হাতে এখনও আছে। এই বিলের মধ্যে দিয়ে তার সমস্তটা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দিল্লিতে, হাইকোর্টের সমতুল্য ক্ষমতার অধিকারী ‘ইলেকট্রিসিটি কনট্রাক্ট এনফোর্সমেন্ট অথরিটি’ নামের নতুন সংস্থাকে আনা হচ্ছে। এই ‘অথরিটি’ (ইসিইএ)-কেই বিদ্যুতের ক্রয়, বিক্রয় ও সঞ্চালন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের একচ্ছত্র অধিকারী করা হবে। রাজ্য সরকার ও রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ক্ষমতা এবং স্বাভাবিকভাবেই ‘ওমবাডসম্যান’-এর মধ্য দিয়ে নানা সমস্যা ও কোম্পানির নানা অন্যায়ের প্রতিকারে গ্রাহকদের যতটুকু সুযোগ ছিল সেটিও কেড়ে নেওয়ার পাকা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই (ইসিইএ) অথরিটিকে হাইকোর্টের সমতুল্য অধিকার দেওয়ার ফলে নিম্নস্তরে ন্যায়বিচার না পাওয়া গ্রাহকদের যে কোনও সমস্যা নিয়ে একেবারে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে– যা কোনও সাধারণ গ্রাহকের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। ফলে এই বিল আইনে পরিণত হলে বিদ্যুৎক্ষেত্রে নানা প্রকার জুলুমের প্রেক্ষিতে ন্যায়বিচার পাওয়ার যতটুকু গণতান্ত্রিক অধিকার আছে, বিদ্যুৎগ্রাহকরা সেটাও হারাবেন। ব্যাপক গ্রাহক আন্দোলন ও দিল্লির সংযুক্ত কিসান মোর্চার লড়াইয়ের চাপে এই বিল সংসদে পেশ করতে না পেরে একটু পরিবর্তন করে আনা হয়েছে বিদুৎ আইন সংশোধনী বিল-২০২১।

শিল্পপতিদের মাশুল কমবে, সাধারণ গ্রাহকদের মাশুল বাড়বে

এই বিদ্যুৎ বিলে ‘পারস্পরিক ভর্তুকি’ (ক্রস সাবসিডি) তুলে দিয়ে সকলের মাশুল সমান করা হবে বলা হয়েছে। তাতে কার লাভ, কার ক্ষতি? বিদ্যুতের পরিকাঠামো তৈরিতে মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশ যাদের জন্য বিদ্যুৎ পৌঁছাতে খরচ হয়েছে, সেই বৃহৎ শিল্পপতিদের মাশুল কমবে, আর মাত্র ১০ শতাংশ পরিকাঠামো ব্যয়ে যে গৃহস্থ, ক্ষুদ্র শিল্প, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও কৃষিতে বিদ্যুৎ যায়, তাদের মাশুল ব্যাপক বাড়বে।

ভরতুকি উঠে যাবে

বিদ্যুৎ বিলে বলা হয়েছে, যদি কোনও সরকার কোনও প্রকার গ্রাহকদের কিছু ভর্তুকি দিতে চায় তবে তা সরাসরি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিতে হবে। এর অর্থ, আগে বিপুল হারে পাঠানো পুরো বিলটাই গ্রাহককে মেটাতে হবে। রান্নার গ্যাসের মতো আস্তে আস্তে সেই ভর্তুকি বাস্তবে উঠিয়ে দেওয়ার এটা একটি আইনি কৌশল। বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার লাইসেন্সবিহীন ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়োগের মাধ্যমে বন্টনজনিত সমস্যা (বিদ্যুৎ বিল, মিটার, লাইন মেরামত, ট্রান্সফরমার মেরামত ও প্রতিস্থাপন, নতুন লাইন নেওয়া, নিরাপত্তা ইত্যাদি) সমাধানে গ্রাহক হয়রানি ও অর্থ ব্যয় প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পাবে। এই বিলে ক্রস-বর্ডার ট্রেডের নামে বিদ্যুতে বৈদেশিক বাণিজ্যের (আমদানি-রপ্তানি) ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বেসরকারি মালিক যদি মনে করে বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করলে লাভ বেশি হবে, তা হলে তাই করবে– দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাক বা না পাক।

ব্যবহারের আগেই বিল মেটাতে হবে

এই বিলে লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার গঠন, বিদ্যুৎ বন্টন লাইসেন্সির বদলে কেন্দ্রীয় সরকারের বশংবদ বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি করে সার্বিক কেন্দ্রীয়করণ করা এবং সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের আইনি সহায়তা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধুমাত্র রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠনে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের সাথে মতামত বিনিময় করবে। বিদ্যুতের ক্রয়-বিক্রয় বিষয়ে বলা হয়েছে পেমেন্টের সিকিউরিটি গ্যারান্টি অবশ্যই থাকতে হবে। অর্থাৎ সাধারণ গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটার বাধ্যতামূলক করা হবে। এর পরিণাম ভয়ঙ্কর। প্রি-পেইড টাকা রাত ১২টায় শেষ হয়ে গেলে আপনা থেকেই বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাবে প্রি-পেইড মোবাইলের মতো। আরও বিপজ্জনক দিক হল, প্রি-পেইড ব্যবস্থা চালু হলে মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা কাজ হারাবে এবং এই পোস্ট চিরতরে বিলোপ হবে, নিয়োগ বন্ধ হবে।

বেশি দামের বিদ্যুৎ বাধ্যতামূলক ভাবে কিনতে হবে

অপ্রচলিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা নির্ধারিত নির্দিষ্ট শতাংশ পরিমাণ বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য করার কথা বলা হয়েছে। এই বিদ্যুৎ বাস্তবে কর্পোরেট হাউস অস্বাভাবিক বেশি দামে বিক্রি করে। ফ্র্যাঞ্চাইজির মতো ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আন্ডারে সাব ডিস্ট্রিবিউটারের কথা বলা হয়েছে। এই বিলে বলা হয়েছে কোনও একটি এলাকায় যেমন মিউনিসিপ্যালিটি বা কর্পোরেশন অথবা পঞ্চায়েত়ে একাধিক কোম্পানি প্রতিযোগিতা করে বিদ্যুৎ বন্টনের ব্যবসা করতে পারবে, এবং বলা হচ্ছে, এতে নাকি দাম কমবে। এটা একটা লোকঠকানো মিথ্যাচার। একচেটিয়া ওষুধ কোম্পানিগুলো কি প্রতিযোগিতা করে দাম কমিয়েছে কখনও? একচেটিয়া পুঁজিবাদের যুগে এই অবাস্তব কথা বাস্তবে একচেটিয়া পুঁজির হাতে সরকারি বন্টন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি তুলে দেওয়ার একটা কৌশল মাত্র।

কৌশলে জনবিরোধী বিলের প্রয়োগ চলছে

এই বিলের প্রয়োগ শুরু হয়েছে ‘স্ট্যান্ডার্ড বিডিং ডকুমেন্ট’ (এসবিডি) নামে। এই স্ট্যান্ডার্ড বিডিংয়ের কাজ হল, ১) রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চুক্তিবদ্ধ দামে ব্যক্তি শিল্পপতিদের কাছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সবটুকু সম্পদ বিক্রি করা। ২) বন্টন কোম্পানির জমি-বাড়ি ন্যূনতম ভাড়াতে ব্যক্তি মালিকানাধীনে দিয়ে দেওয়া। ৩) সমস্ত কর্মচারীদের, যাঁরা সরকারি চাকরি করেন তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন কর্মচারীতে পরিণত করা। যদিও ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ সেক্টরে টাটা, এসার, আদানি, গোয়েঙ্কা, টোরেন্ট ইত্যাদি কোম্পানি আছেই। এখন বিডিংয়ের নামে পুরো বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থাকে মাত্র কয়েকজন একচেটিয়া পুঁজিপতির কাছে হস্তান্তর করতে চাইছে সরকার। পুদুচেরি, জম্মু ও চণ্ডীগড় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সমগ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বন্টন ব্যবস্থাকে কর্পোরেটের কাছে বিক্রি করার নোটিশ ইতিমধ্যে জারি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার পূর্বাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ নিগমকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা প্রবল আন্দোলনের ফলে আটকে দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনেও কেন্দ্রীকরণ

সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ইতিমধ্যেই নতুন রেগুলেশন হয়েছে। সেই রেগুলেশনে বলা হয়েছে, কেউ ইচ্ছা করলেই সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহার করতে পারবেন না। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ও ব্যবহার করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। সেই লাইসেন্সের শর্ত হচ্ছে, যিনি যতটুকু বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন তাকে তার সবটুকুই পূর্ব নির্ধারিত দামে ন্যাশনাল গ্রিডে বিক্রি করতে হবে। তারপর সেই বিদ্যুৎ তার ঘরে বাধ্যতামূলকভাবে লাগানো ‘নেট মিটারিং’ ব্যবস্থার মাধ্যমে তাকে বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির নির্ধারিত দামে কিনতে হবে।

এইভাবে নানা রকম শর্ত আরোপ করে বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের মুনাফার পাহাড় গড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে নতুন বিদ্যুৎ বিলে। এই বিল প্রতিরোধ না করতে পারলে জনজীবনে নেমে আসবে গভীর অন্ধকার।

জীবিত মানুষের অক্সিজেন যেমন প্রয়োজন, মানব সমাজকে সজীব রাখতে বিদ্যুতের প্রয়োজন তেমনই। সমাজের অগ্রগতির অন্যতম প্রধান উপাদানই বিদ্যুৎ। যে দেশে বিদ্যুতের ব্যবহার যত বেশি সে দেশ তত উন্নত। আর এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সহজলভ্য না হলে জনসাধারণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই আজ দাবি উঠছে, সর্বক্ষণ স্বল্প দামে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে হবে। আর তা নিশ্চিত করতে হলে জনবিরোধী বিদ্যুৎ আইন-২০০৩ ও তার সংশোধনী বিল ২০২১ প্রত্যাহারের দাবিতে ব্যাপক গ্রাহক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনও পথ সাধারণ মানুষের সামনে খোলা নেই।

গণদাবী ৭৪ বর্ষ ১৪ সংখ্যা ১২ নভেম্বর ২০২১