এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ২ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেন,
সারা ভারতের সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের প্রস্তাবিত ২৬ জুলাইয়ের ধর্মঘট ভাঙতে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে দানবীয় ‘এসেন্সিয়াল ডিফেন্স সার্ভিস অর্ডিন্যান্স’ (ইডিএসও) জারি করেছে, আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কমিটি তার তীব্র নিন্দা করছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র কারখানাগুলিকে কর্পোরেট কোম্পানিতে পরিণত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমে সেগুলিকে সাতটি কর্পোরেশনে ভাগ করে দিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে সেগুলি বহুজাতিক ধনকুবেরদের হাতে তুলে দেওয়ার সুবিধা হবে। এর ফলে যেমন সারা দেশের ৪১টি রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র কারখানার ৭৬ হাজার শ্রমিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে, তেমনই ইতিমধ্যেই তীব্র বেকার সমস্যায় জর্জরিত দেশের যুব সমাজের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও সঙ্কুচিত হবে। বহু রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভারতের শ্রমিক শ্রেণি ন্যায্য দাবিতে ধর্মঘট এবং প্রতিবাদের যে অধিকার আদায় করেছে, এই অর্ডিন্যান্স তাকে কবরস্থ করতেই আনা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের বাকশক্তিটুকুও কেড়ে নিয়ে তাদের পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে মুনাফালোভী বহুজাতিক ধনকুবেরদের সেবাদাসে।
এই অর্ডিন্যান্স যেভাবে ধর্মঘটে যোগদানকারী শ্রমিক এবং তাদের ‘ইন্ধনদাতা’দের কমপক্ষে ২ বছর জেল ও জরিমানার শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছে, আমরা তারও তীব্র নিন্দা করছি। আমরা ২৬ জুলাইয়ের প্রস্তাবিত ধর্মঘটকে সর্বতোভাবে সমর্থন জানাচ্ছি। আমরা দাবি করছি, সরকারকে অবিলম্বে অস্ত্র কারখানাগুলিকে কর্পোরেট কোম্পানি করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে এবং দানবীয় ‘ইডিএসও’ প্রত্যাহার করতে হবে। এ দেশের শ্রমিক শ্রেণির কাছে আমাদের আবেদন, সরকারের সমস্ত জনবিরোধী ও শ্রমিক বিরোধী পদক্ষেপগুলির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তা প্রত্যাহারে সরকারকে বাধ্য করুন।
এ আই ইউ টি ইউ সি-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড শঙ্কর দাশগুপ্তও ১ জুলাই এক বিবৃতিতে এই অর্ডিন্যান্স অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।