মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলায় বক্সওয়াহা জঙ্গলের ৩৮০ হেক্টরেরও বেশি জমি ও ২ লক্ষের বেশি গাছ ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি সরকার। আদিত্য বিড়লা গ্রুপের হিরে খনি প্রকল্পে এই বিরাট এলাকায় সমস্ত গাছ কাটার ছাড়পত্র দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের জীবন এবং সামগ্রিকভাবে পরিবেশ ধ্বংসের ব্যবস্থা করেছে। এস ইউ সি আই (সি) মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সম্পাদক কমরেড প্রতাপ সামল ১০ জুন এক বিবৃতিতে এই সর্বনাশা প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করেছেন।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পে কর্মসংস্থানের খোয়াব দেখাচ্ছে বিজেপি সরকার। অথচ অফিসার, কর্মচারী, মজুর মিলিয়ে এই প্রকল্পে ৩০০ থেকে ৪০০-র বেশি কর্মসংস্থান অসম্ভব তা সরকারই বলছে। কিন্তু এর জন্য ২০টি গ্রামের ৮ হাজারের বেশি পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। বহু আদিবাসী পরিবার যারা অরণ্য থেকে সংগৃহীত নানা জিনিস বিক্রি কর়ে জীবিকা নির্বাহ করে তারা চরম সংকটে পড়বে। এছাড়াও হিরে শোধনের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক এলাকার জমি ও জলের মারাত্মক দূষণ ঘটাবে। কমরেড সামল উল্লেখ করেছেন, কিছুদিন আগে করোনার কারণে মধ্যপ্রদেশের সিহোরের রোজগার হারানো এক গরিব কৃষক একটিমাত্র গাছ কাটার ফলে বিজেপির রাজ্য সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। আদালত তাকে এক কোটি টাকা জরিমানার শাস্তি দিতে গিয়ে বলেছে এই গাছ যে অি’জেন উৎপন্ন করে তা অমূল্য।
ভারতের শীর্ষ আদালত ২০১৯-এর ১৩ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে অরণ্যের ক্ষতি রুখবার কথা বলে যে রায় দিয়েছে তাতে ২০ লক্ষ আদিবাসী এবং প্রান্তিক বনবাসী পরিবার উচ্ছেদ হয়েছে। অথচ পুঁজিপতি শ্রেণির লাভের প্রশ্ন এলে এই বুর্জোয়া ব্যবস্থার রক্ষকরা উন্নয়নের ধুয়ো তুলে নির্বিচারে পরিবেশ ধ্বংসের পক্ষে সওয়াল করতে থাকে। গরিব মানুষকে তার ভিটেমাটি জীবন জীবিকা থেকে উচ্ছেদ করতে রাষ্ট্র তার সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে। এই অরণ্য রক্ষার জন্য পরিবেশ কর্মীরা ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছেন। এস ইউ সি আই (সি) দল অবিলম্বে এই প্রকল্প বাতিল করার দাবি জানিয়েছে।