পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান ১ নং সেক্টর কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের অন্তর্গত হরিনারায়ণপুর ১ নং সজলধারা প্রকল্পে জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ২০১৬–র বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হয় যথাক্রমে ১৩,০০০ টাকা, ১৩, ১১৭ টাকা, এবং ১৩,১১৭ টাকা৷ নির্দিষ্ট তারিখের পরে হলে তা দিতে হবে যথাক্রমে ১৯,১৮০ টাকা, ১৯,১৯৫ টাকা এবং ১৯,১৯৫ টাকা৷ অ্যাবেকা নেতৃত্বের পরামর্শে রিজিওনাল গ্রিভান্স রিড্রেসাল অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হলে, বিদ্যুৎ অফিস রাতারাতি বিল কমিয়ে তিনটি বিলেই ১৬,৭০৫ টাকা ধার্য করে৷ বাধ্য হয়ে গ্রাহক এই টাকা জমা করেন এবং কোন ধারা অনুযায়ী এটা করা হচ্ছে তা জানতে চান৷ দীর্ঘদিন পর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জানান, নির্দিষ্ট সময়ের পরে বিল মেটানো হলে তা বাণিজ্যিক রেট অনুযায়ী নেওয়া হয়৷ এই চরম বেআইনি ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে অ্যাবেকার পক্ষ থেকে ওমবুডসম্যান–এর কাছে অভিযোগ জানানো হয়৷ তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ বেআইনি৷ এবং নিয়ম মেনে লেট পেমেন্ট সারচার্জ দাবি না করে নতুন করে বিল করার নির্দেশ দেন৷
অ্যাবেকার বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, তথ্য জানার অধিকার আইনের সাহায্যে গত পাঁচ বছরে এই ধরনের ভুয়া বিল কী পরিমাণ নেওয়া হয়েছে এবং বর্ধিত টাকা কোথায় যাচ্ছে তা তাঁরা জানতে চাইবেন৷ সাথে সাথে এই ধরনের বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলনেও নামবেন৷