রেল, পুলিশ, শিক্ষকতা সহ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি দপ্তরে অসংখ্য পদ খালি পড়ে আছে মধ্যপ্রদেশ সহ দেশের প্রায় সর্বত্র। করোনা মহামারির কারণে কয়েক কোটি কর্মরত মানুষের কাজ চলে গেছে। এই সময় প্রয়োজন ছিল অতিদ্রুত সরকারি শূন্যপদ পূরণ করা। নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত চালু করে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। কিন্তু সেই পথে না গিয়ে বিজেপি সরকার একদিকে রেল, বিএসএনএল, সহ নানা সংস্থা থেকে ছাঁটাই করেই চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার কর্মচারীদের যখন তখন ছাঁটাইয়ের সার্কুলার দিয়েছে। সরকার রেলের পঞ্চাশ শতাংশ পদ বিলোপ করার ঘোষণা করেছে। মধ্য প্রদেশেও শিক্ষক নিয়োগ, সরকারি ক্লার্কশিপ পরীক্ষা দীর্ঘদিন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে চালু করা এবং বেকারদের কর্মসংস্থানের দাবিতে ৪ সেপ্টেম্বর এ আই ডি ওয়াই ও-র আহ্বানে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের রোশনপুরা চকে সহস্রাধিক যুবক-যুবতী সমবেত হয়েছিলেন। প্রথম থেকেই পুলিশ এই জমায়েত করায় বাধা দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত যুবক-যুবতীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। রাজ্যের বিজেপি পরিচালিত সরকার যুবদের এই ন্যায্য দাবি সহানুভূতির সাথে শোনা দূরে থাক জমায়েত শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভের উপর পুলিশকে লাঠি চালাতে আদেশ দেয়। নির্মম লাঠিচার্জে শতাধিক যুবক-যুবতী আহত হন। মহিলা বিক্ষোভকারীদের পুরুষ পুলিশ অশ্লীলভাবে টানাটানি করতে থাকে। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক প্রমোদ নামদেব সহ শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এস ইউ সি আই (সি) মধ্যপ্রদেশ রাজ্য কমিটির সম্পাদক কমরেড প্রতাপ সামল এই লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা করে বলেন, সংগ্রামী এই যুবকরা যেভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তার জন্য তাঁদের অভিনন্দন জানাই। সরকারের সমস্ত অগণতান্ত্রিক জনবিরোধী কাজকে রুখতে এভাবেই আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এ আই ডি ওয়াই ও-র সর্বভারতীয় সভাপতি কমরেড রামনজনাপ্পা আলদালি এবং সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রতিভা নায়ক ওইদিন এক বিবৃতিতে এই লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা করেন। তাঁরা দাবি করেন যুবকদের ন্যায্য দাবি মেনে সরকারকে অবিলম্বে শূন্য পদে নিয়োগের কাজ শুরু করতে হবে।