এ আই ইউ টি ইউ সি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক কমরেড অশোক দাস ২ মে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে দাবি করেছেন, অন্যান্য রাজ্যে আটকে থাকা সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিককে সরকারি খরচে ট্রেন বা বাসে ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, এই শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্পের টাকা তাঁরা ফিরে আসার সাথে সাথে হাতে হাতে নগদে দিতে হবে। এ জন্য নতুন করে কোনও আবেদনপত্র বা প্রমাণ চেয়ে সময় নষ্ট করা চলবে না।
তিনি দাবি করেছেন, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ১ কোটি ২২ লক্ষ শ্রমিক সহ সকল অসংগঠিত শ্রমিককে ‘প্রচেষ্টা প্রকল্পের’ অন্তর্ভুক্ত করে ত্রাণ সাহায্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে ঘোষণার পরেও সরকারি দীর্ঘসূত্রতা বন্ধ ও উল্লেখিত দুটি প্রকল্পেই দেয় টাকা বাড়িয়ে অন্তত ৬ হাজার টাকা করতে হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট চালু করে মালিকদের উদ্দেশে ঘোষণা করেছিল লকডাউনের মধ্যে সমস্ত শ্রমিককে পূর্ণ বেতন দিতে হবে। বাস্তবে বেশিরভাগ মালিকই শ্রমিকদের বেতন না দিলেও সরকার কিছুই করছে না। কমরেড অশোক দাস দাবি করেন, কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য মালিকদের বাধ্য করতে হবে। লকডাউন চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে মালিকদের শ্রমিক ছাঁটাই করতে না দেওয়া, রেশন কার্ড থাকুক বা না থাকুক সমস্ত গরিব মানুষকে মাসে মাথাপিছু ১৫ কেজি চাল ২ কেজি ডাল, ৫ কেজি আলু দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। শ্রমসময় বাড়ানোর প্রতিবাদ করে কমরেড অশোক দাস দাবি করেন, জুট, চা সহ সমস্ত শিল্পে শ্রমিকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
সকল শ্রমিক সংগঠনকে নিয়ে যৌথ সভা ডাকার দাবি করেছে এ আই ইউ টি ইউ সি।