স্বরূপনগর : এনআরসি–সিএএ–এনপিআর বাতিলের দাবিতে শাহিনবাগের পথে উত্তাল গোটা দেশ৷ এ রাজ্যেও পার্কসার্কাস, পলাশী, আসানসোল সহ নানা স্থানে চলছে লাগাতার ধর্না৷ ৬৬’র খাদ্য আন্দোলনের পীঠস্থান উত্তর ২৪ পরগণার স্বরূপনগরও পিছিয়ে নেই৷ ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিডিও অফিসের সামনে এনআরসি বিরোধী নাগরিক কমিটির উদ্যোগে শুরু হয় আমজনতার লাগাতার ধর্না৷ ধর্নামঞ্চের নাম দেওয়া হয় শহিদ নুরুল ইসলাম বাগ৷ বিশিষ্ট নাগরিক ফজলুর হক এর সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মহিদুল ইসলাম ও বেলা পাল, সহ সভাপতি খালেক পাড়, মানবাধিকার কর্মী মোহর আলী প্রমুখ৷ রাত ১১–৩০টা নাগাদ ২০ জনের পুলিশবাহিনী শিবির তুলতে এলে জনপ্রতিরোধে ফিরে যেতে বাধ্য হয়৷ ধর্নার দ্বিতীয় দিনে নাগরিকদের বক্তৃতার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক কার্যক্রম৷ ধর্নার প্রতি ছিল সকলের প্রবল সমর্থন৷ ৩টি বিদ্যালয়, ২টি ব্যাঙ্ক, বাজারের মধ্যে দিবারাত্র মাইকে বক্তব্য চললেও সকলে সাময়িক অসুবিধাকে মেনে নিয়ে ছিলেন৷ বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় ঘোষণা করে আপাতত ধর্না স্থগিত রাখা হয়, দাবি না মানলে পরীক্ষা শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য তা করার আহ্বান জানানো হয়৷
ধেড়ুয়া : ৮ ফেব্রুয়ারি জঙ্গলমহলের ধেড়ুয়া অঞ্চল নাগরিক কনভেনশন হয় মালবান্দী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে৷ এলাকার বিশিষ্ট নাগরিক ডাঃ ভক্তপদ সিংহ সভাপতিত্ব করেন৷ আলোচনা করেন শিক্ষক অক্ষয় খান, সমাজসেবী স্বপ্ন পাত্র, অধ্যাপক প্রভঞ্জন জানা, শিবশংকর মাহাত ও মেদিনীপুর শহর নাগরিক কমিটির সম্পাদক দীপক পাত্র প্রমুখ৷ ডাঃ ভক্তপদ সিংহকে সভাপতি, পতিত মাহাত ও রামেশ্বর মাহাতকে যুগ্ম সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়৷