অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর ৫ জুন এক বিবৃতিতে বলেন, ২০২৩-‘২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের ৬৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিফ্রেশার, উইন্টার বা সামার স্কুল, শর্ট টার্ম কোর্স, ওয়ার্কশপ প্রভৃতির জন্য ইউজিসি যেসব বিষয় নির্ধারণ করেছে এক কথায় তা নজিরবিহীন। এই কোর্সে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পড়ুয়া হিসাবে যোগ দেবেন। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কেই ‘ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম’-এর উপর ওয়ার্কশপ করতে বলা হয়েছে। শিক্ষক মহলে ‘ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম’ অত্যন্ত বিতর্কিত ও অপবিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত এবং নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির কেন্দ্রবিন্দু।
‘অনলাইন কোর্স’-এর ডিজাইন কী ভাবে করতে হবে কেরালা বিশ্ববিদ্যালয় তা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শেখাবে। কেমন করে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে হবে তার পাঠ বহু বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে। শিক্ষার উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ন কেমন করে বাস্তবায়িত করতে হবে তার উপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়কে। সব থেকে বিস্ময়ের দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সের বিষয়বস্তু। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন অনেক বেশি। কিন্তু ‘হিন্দু স্টাডিজ’ ও ‘বৈদিক দর্শন ও বিজ্ঞান’-এর উপর পাঠ দেওয়ার দায়িত্ব এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরই বর্তেছে!
একটি স্বশাসিত সংস্থার নামে ইউজিসি-কে যে ভাবে সঙ্ঘ পরিবারের শিক্ষা সংক্রান্ত লক্ষ্য পূরণে ব্যবহার করছে বর্তমান কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার তা অত্যন্ত আপত্তিজনক। অধ্যাপক সংহতি মঞ্চ এর তীব্র প্রতিবাদ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রিফ্রেশার কোর্সে এই ধরনের বিষয়গুলিকে প্রত্যাখ্যানের দাবি জানায়।