১২ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের ডাকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে ধরনা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷
রাজ্যের ১২৬টি পৌরসভা ও নিগমে কর্মরত প্রায় দশ হাজার পৌর স্বাস্থ্যকর্মী চরম বঞ্চনার শিকার৷ পৌর এলাকায় বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষদের বিশেষত মহিলা ও শিশুদের অপুষ্টির বিষয়ে সমস্ত কাজ, টিকাকরণ, পতঙ্গ বাহিত, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের সচেতনতা, পোলিও, ফাইলেরিয়া, কুষ্ঠ রোগের প্রতিষেধক টিকা ও ওষুধ খাওয়ানোর দায়িত্ব এঁদের উপর৷ ২০১৭ সাল থেকে বিনা পারিশ্রমিকে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন–এর কাজও এঁদের দিয়ে৷ এ ছাড়া মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় স্কুলে পরীক্ষা চললে, খেলাধূলা হলে এই পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিউটি দিতে হয়৷
এদের কাজের পরিধি দিনের পর দিন বাড়ানো হচ্ছে, কিন্তু বেতন মাত্র ৩, ১২৫ টাকা৷ কোনও অবসরকালীন ভাতা না দিয়ে শূন্য হাতে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ পিএফ, গ্র্যাচুইটি, পেনশন দেওয়া হয় না৷ নেই শ্রমিকের স্বীকৃতি৷ সীমাহীন এই বঞ্চনা নিরসনের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী, পৌরমন্ত্রীর কাছে বহুবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে৷ গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের অবসরসীমা পঁয়ষট্টি করে দেবেন৷ পৌরমন্ত্রীও এই দাবির যৌক্তিকতা মেনে গ্র্যাচুইটি চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন৷ কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি৷
রাজ্য সভাপতি সুচেতা কুণ্ডু, যুগ্ম সম্পাদক পৌলমি করনজাই ও কেকা পাল বলেন, অবিলম্বে কাজের বয়স ৬৫ বছর পর্যন্ত করতে হবে, স্বেচ্ছাসেবী নয় কর্মীর স্বীকৃতি দিতে হবে, সাম্মানিক ভাতা নয় পদ অনুযায়ী সম্মানজনক বেতন দিতে হবে, ইপিএফ, পেনশন এবং অবসরের এককালীন তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে, প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক পদোন্নতি চালু করতে হবে, তারপরে শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ করতে হবে, জনসাধারণের স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করতে সাবসেন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে, আধুনিকীকরণ, ওষুধ এবং প্রতিষেধক টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ করতে হবে৷