শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯–এ বলা হয়েছিল ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে৷ সুপারিশ ছিল, এটাকে বাস্তবায়িত করতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক ভাবেই করতে হবে৷ আইন প্রণয়নের পর ৮ বছর পার হয়ে গেলেও দেখা যাচ্ছে বহু রাজ্য এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটিই সম্পূর্ণ করেনি৷ এর মধ্যে সাতটি রাজ্য ভয়াবহভাবে পিছিয়ে৷ সম্প্রতি জনস্বার্থবাহী একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে৷
কোন সাতটি রাজ্য বেশি পিছিয়ে? আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ৷ বিহারে শিক্ষক পদ শূন্য ৩ লক্ষ ২৩ হাজার, উত্তরপ্রদেশে ৩ লক্ষ ১৫ হাজার, পশ্চিমবঙ্গে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার৷ ৭টি রাজ্যে মিলিত শূন্য পদের সংখ্যা ৯ লাখ ৬০ হাজার৷ এত শিক্ষক পদ শূন্য৷ কে শেখাবে?
রাজ্য সরকারগুলি শিক্ষক নিয়োগে যথেষ্ট গুরুত্ব না দিয়ে ও শিক্ষার অধিকার আইনের দোহাই দিয়ে পাশ–ফেল তুলে দেওয়ার মতো অত্যন্ত ক্ষতিকর কাজটি করতে পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে৷ এই হল সরকার নামক প্রতিষ্ঠানটির জনবিরোধী ভূমিকার আংশিক চিত্র৷
(তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া–৩০.০১.২০১৮)
(৭০ বর্ষ ৩৯ সংখ্যা ১৮ মে, ২০১৮)