তৃণমূলের খুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ৪ জুলাই দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলাজুড়ে মৈপীঠ সংহতি দিবস পালিত
৪ জুলাই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে পালিত হল মৈপীঠ সংহতি দিবস। গত বছর ৪ জুলাই কুলতলীর মৈপীঠ অঞ্চলে এসইউসিআই (কমিউনিস্ট )-এর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা কমরেড সুধাংশু জানাকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নৃশংসভাবে খুন করে। শতাধিক বাড়ি, দোকান পুড়িয়ে দেয়, ভাঙচুর করে, ব্যাপক মারধর করে ২৫-৩০ জনকে সারা জীবনের মতো পঙ্গু করে দিয়েছে।
কেন এই সন্ত্রাস? কারণ কমরেড সুধাংশু জানার নেতৃত্বে এলাকার মানুষ তৃণমূলের আমফান দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। ফলে দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে আন্দোলনের নেতাকে খুন করে। কিন্তু এক বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরছে। ধারাবাহিক সন্ত্রাস চলছে। পুলিশ প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও খুনিদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। প্রতিদিন মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হচ্ছে দলের কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে। তৃণমূলের ধারাবাহিক সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে সারা জেলা জুড়ে পালিত হল মৈপীঠ সংহতি দিবস।
প্রবল সন্ত্রাস, জীবননাশের হুমকি ও ভারী বৃষ্টির মধ্যে মৈপীঠের পাঁচমাথার মোড়ে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক ও দলের রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড জয়কৃষ্ণ হালদার, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড সৌরভ মুখার্জী, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড স্বপন পালিত, জেলা কমিটির সদস্য প্রকাশ মাইতি সহ স্থানীয় কমরেড ও বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। ওই দিন মেরিগঞ্জ ১ ও প্রিয়র মোড়ে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বারুইপুর, জয়নগর, ক্যানিং, নামখানা, কাকদ্বীপ, সাগর, গোসাবা, বাসন্তী, জি-প্লট, পাথরপ্রতিমা, ডায়মন্ডহারবার, মন্দিরবাজার, মথুরাপুর, রায়দিঘী, কুলপী, উস্তি, মগরাহাট, বিষ্ণুপুর সহ ৭৫টি জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ সভা, প্রচার ও শহিদ বেদিতে মাল্যদান প্রভৃতি সংঘটিত হয়। সর্বত্র আওয়াজ উঠেছে অবিলম্বে খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। জয়নগর জেলা অফিসে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন পলিটবুরো সদস্য কমরেড দেবপ্রসাদ সরকারের পক্ষে কমরেড মঙ্গলময় মুখার্জি, রাজ্য কমিটির সদস্য ও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড মাদার আলি নস্কর এবং রাজ্য ও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজাতা ব্যানার্জি, নন্দ কুণ্ডু, গীতা জানা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।