উত্তর কলকাতার টালা ব্রিজ দীর্ঘ দু’দশক ধরে সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে৷ সম্প্রতি এই ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ এর ফলে মূল কলকাতায় যাতায়াত খুবই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ সমস্যা সমাধানে এক গুচ্ছ বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরে আন্দোলনে নেমেছে বরানগর নাগরিক অধিকার রক্ষা সমিতি৷
১২ অক্টোবর জিএলটি রোড–টবিন রোড মোড়ে অনুষ্ঠিত এক কনভেনশনে সমিতির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, টালা ব্রিজ মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ৩৪বি বাস ডানলপ–কাশীপুর–রাজবল্লভপাড়া-শ্যামবাজার-ধর্মতলা রুটে চালানো হোক৷ বর্তমানে এই বাসটি ডানলপ–বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে–হাডকো–ফুলবাগান-কাঁকুরগাছি-বেলেঘাটা-শিয়ালদা-ধর্মতলা রুটে চলছে৷ এই রুট বরানগরবাসীর কোনও কাজে লাগছে না৷ বাসকর্মচারী ও বাসমালিকদের স্বার্থও এই রুট রক্ষা করছে না৷ বেশিরভাগ গাড়ি বসে যাওয়ায় বাসের ড্রাইভার ও কন্ডাকটররা তাঁদের দুরবস্থার কথা সভায় তুলে ধরেন৷ সমিতির আরও দাবি, ডানকুনি–শিয়ালদহ লাইনে প্রতি ২০ মিনিট অন্তর ট্রেন চালাতে হবে৷ বন্ধ হয়ে যাওয়া কুটিঘাট–বাগবাজার লঞ্চ সার্ভিস চালু করতে হবে, বাড়াতে হবে নোয়াপাড়া থেকে মেট্রো রেল সার্ভিস৷ এছাড়া ৩৪সি রুটটিও চালু করার দাবি উঠেছে৷
দাবিপত্রে হাজার হাজার মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ২৩ অক্টোবর বরানগর পৌরসভা অভিযানের কথা জানান সমিতির অন্যতম আহ্বায়ক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য৷ এই কনভেনশন সফল করার জন্য পরিবেশ বিজ্ঞানী ডঃ অরুণকান্তি বিশ্বাস, ফুটবল প্রশিক্ষক রঞ্জন ভট্টাচার্য, জাতীয় ফুটবলার ত্রিজিত দাস, সাংবাদিক প্রসূন আচার্য, প্রশান্ত ভট্টাচার্য, ডাঃ ইন্দ্রনীল সেন প্রমুখ ৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ নাগরিক সভার পাশেই বিপ্লবী বাঘাযতীনের আবক্ষ মূর্তি দুষ্কৃতীরা ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে সভায় নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷