২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে দামিনী তথা নির্ভয়ার উপর যে নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছিল তা স্মরণ করে দিনটিকে ‘দামিনী দিবস’ তথা ‘নারী নিগ্রহ বিরোধী দিবস’ হিসাবে পালন করল নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কমিটি৷ কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একের পর এক ঘটে চলা নারী–শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে সোচ্চার হন অসংখ্য মানুষ৷ মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে, মেদিনীপুর, তমলুক এবং বেলদা শহরে, হাওডা সদরে, পুরুলিয়ায় এবং দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ের অনুষ্ঠানে বহু মানুষ উপস্থিত হয়ে তাঁদের উদ্বেগ এবং প্রতিবাদকে ধ্বনিত করেন৷ কলকাতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত, আইনজীবী নাজিয়া ইলাহি, ক্রীডাবিদ কুন্তলা ঘোষদস্তিদার, শান্তি মল্লিক, অধ্যাপক সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, অধ্যাপক অনিল কুমার ঘোষ প্রমুখ৷ যোগমায়া দেবী কলেজ, আশুতোষ কলেজ, বিদ্যাসাগর কলেজ সহ নানা কলেজের ছাত্র–ছাত্রীরা প্রতিবাদী পথনাটক, সঙ্গীত, কোরিওগ্রাফি প্রভৃতি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে নারীর উপর বেড়ে চলা অত্যাচারের নানা রূপ এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে তুলে ধরেন৷ বিভিন্ন বক্তা নারী নির্যাতন বন্ধ করা এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, মদ সহ নানা মাদক দ্রব্য, ব্লু ফিল্মের ক্রমাগত বেড়ে চলা প্রভাবের কথা উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁডানোর আহ্বান জানান৷ তাঁরা বলেন, বর্তমান সামাজিক অবক্ষয় ছাত্র যুবকদের নৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে তাদের অমানুষে পরিণত করছে৷ তারই ফলে নারীনিগ্রহের ঘটনা এত বেডে চলেছে৷ বক্তারা সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে একত্রিত হয়ে এর প্রতিবাদে উন্নত সংস্কৃতির চর্চা ও প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন৷