১২ মাস বেতন ও বেতন বৃদ্ধির দাবি মিড ডে মিল কর্মীদের অবরোধ

 

এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত সারা বাংলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের ডাকে ২৭ সেপ্টেম্বর ১০ হাজারের বেশি মিড ডে মিল কর্মী তাঁদের উপর চলা শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে কলকাতায় বিক্ষোভ সমাবেশে সামিল হলেন। তাঁদের ক্ষোভের কারণ, গত ১১ বছরে মিড ডে মিল কর্মীদের ভাতা এক পয়সাও বাড়েনি। শারদোৎসবের আগে বোনাস, বছরে ১২ মাসের বেতন চালু করা, ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিকর খাবারের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি সহ ১৩ দফা দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা। তাঁদের উপর শোষণ ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরে বিভিন্ন জেলার মিড ডে মিল কর্মীরা বক্তব্য রাখেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, মে মাসে গ্রীষ্মের ছুটি ও অক্টোবরে পূজার ছুটি মিলিয়ে মোট ২০ দিন রান্নার কাজ করতে হলেও এই ২ মাসের বেতন তাঁদের দেওয়া হয় না কেন?

হরিয়ানাতে মাসিক বেতন ৭ হাজার টাকা, কেরালায় ৯ হাজার টাকা, তামিলনাড়ু সরকার ১০ হাজার টাকা দেয়, অথচ ‘এগিয়ে বাংলা’ প্রচারের কারিগর পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেতন দেয় মাত্র ১৫০০ টাকা। বেতন নির্ধারণের সময় তাদের কি একবারও মনে হয় না যে, এই টাকায় কোনও পরিবারের বাঁচা সম্ভব নয়? সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে স্লোগান মুখরিত ১০ হাজার মিড ডে মিল কর্মীর মিছিল এসপ্ল্যানেডে পৌঁছে লেনিন মূর্তির মোড়ে অবরোধ করে। অবরোধ চলাকালীন সারা বছরের বেতন না দিয়ে ১০ মাসের বেতন দেওয়ার সরকারের কালা সার্কুলারের প্রতিলিপি পড়ানো হয়। অগ্নিসংযোগ করেন রাজ্য সম্পাদিকা কমরেড সুনন্দা পণ্ডা। সহ সভাপতি কমরেড নিখিল বেরার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রাজ্যপাল ও আর এক সহ সভাপতি কমরেড রীনা ঘোষের নেতৃত্বে অন্য প্রতিনিধিদল শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি কমরেড সনাতন দাস ।

ওয়াই চ্যানেলে সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য সম্পাদক কমরেড সুনন্দা পণ্ডা, স্কিম ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইসমত আরা খাতুন ও অধ্যাপিকা অনুরূপা দাস, এ আই ইউ টি ইউ সি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক অশোক দাস।